বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
দিনহাটা শহর থেকে অদূরেই পুটিমারিতে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠটি রয়েছে। মহকুমাতে শুধুমাত্র খেলার জন্য একমাত্র পুটিমারি মাঠটি রয়েছে। প্রায় ছয় একর জমি জুড়ে মাঠটি রয়েছে। ১৯৮৮ সালে জমি কিনে মাঠটি তৈরি করে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা। সেই মাঠে স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা তখন থেকে নেওয়া হয়। মাঠটি সংস্কারের জন্য পরবর্তীতে রাজ্যসভার তৎকালীন এমপি জয়ন্ত ভট্টাচার্য সাংসদ কোটা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্রীড়া সংস্থাকে প্রদান করেন। সেই টাকায় মাঠের দুই দিকে দেওয়াল দেওয়া হয়। বছর চারেক আগে সেই দেওয়ালের একাংশ দুষ্কৃতীরা ভেঙে দেয়। এনিয়ে দিনহাটা থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বর্তমানে দেওয়াল থেকে ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এভাবে ইট খুলে নিয়ে গেলে দেওয়ালগুলি শীঘ্রই ভেঙে পড়বে। দিনহাটা শহরের অন্যতম মাঠ সংহতি ময়দানে মাঝে মধ্যে মেলা, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান লেগে থাকে। ফলে খেলোয়াড়দের একমাত্র ভরসা শহর সংলগ্ন পুটিমারি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ। প্রতি বছর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট মাঠটিতে অনুষ্ঠিত হয়। মহকুমার প্রায় কুড়িটির মতো ক্লাব টুর্নামেন্ট অংশ গ্রহণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ক্রীড়া, পুলিসের স্পোর্টস সহ বিভিন্ন খেলা এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় খেলোয়াড়রা এই মাঠে ফুটবল,ক্রিকেট খেলার অনুশীলন করেন। কিন্তু বর্তমানে মাঠটিতে সব সময় গোরু ছাগল চরে বেড়ায় মাঠের একাংশে গর্ত খুঁড়ে মাটি চুরি হচ্ছে। ওই মাঠে স্টেডিয়াম বানানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে ক্রীড়াপ্রেমীরা। রাজ্য সরকারকে কয়েকবার এবিষয়ে প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে সর্বশেষ এবিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হলেও সরকার এখন অবধি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।