গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
আপাতত টানা তিনটি হোম ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে ইস্ট বেঙ্গল। কিন্তু যে কোনও মূল্যে স্পিরিটেড ফুটবল খেলে শিলং লাজং (১৪ ফেব্রুয়ারি), চার্চিল ব্রাদার্স (১৭ ফেব্রুয়ারি)ও আইজল এফ সি’র ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) বিরুদ্ধে ন’পয়েন্ট না পেলে শেষ ল্যাপে ঝামেলায় পড়ে যাবে ইস্ট বেঙ্গল। কারণ পরিবর্তিত সূচি অনুসারে ইস্ট বেঙ্গলের শেষ তিনটি ম্যাচ অ্যাওয়ে। এই ম্যাচ গুলি খেলতে তাদের ছুটে বেড়াতে হবে কাশ্মীর থেকে চণ্ডীগড় হয়ে কেরল। এবং ইস্ট বেঙ্গলের এই শেষ তিনটি ম্যাচের মধ্যে রিয়াল কাশ্মীর আছে খেতাবি লড়াইয়ে। আর মিনার্ভা ও গোকুলাম অবনমনের লড়াইয়ে। তাই তিনটি ম্যাচই বেশ কঠিন।
রিয়াল কাশ্মীরের চারটি ম্যাচ বাকি। তারা ঘরের মাঠে মিনার্ভা এফ সি ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) আর ইস্ট বেঙ্গলের ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) বিরুদ্ধে খেলবে। ভুবনেশ্বরে অ্যারোজের বিরুদ্ধে ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) পয়েন্ট পেতে অসুবিধা হওয়ার নয়। তবে শেষ রাউন্ডে রিয়াল কাশ্মীরকে খেলতে হবে নেরোকার বিরুদ্ধে। রিয়াল কাশ্মীরের কোচ রবার্টসন সোমবার হোটেলে বিদেশি এবং ভিন রাজ্যের ফুটবলারদের নিয়ে কনফারেন্স রুমে ম্যাচটি দেখেন। হোটেল সি এইচ টু শ্রীনগরের চারতারা হোটেল। শ্রীনগরের এই হোটেলটি মালিক সন্দীপ ছাত্তুর, যিনি রিয়াল কাশ্মীরের মালিক। কোচ রবার্টসন, তাঁর পুত্র তথা ফুটবলার ম্যাসন,ক্রিজো, বিলাল আমেদ, সুমন দত্ত, ঋত্বিক দাসের মতো খেলোয়াড়রা আগস্ট থেকে এই হোটেলেই থেকে এসেছেন। রিয়াল কাশ্মীরের ফুটবলাররা প্রায় আইএসএলের দলগুলির মতোই ‘স্ট্যাটাস’ পাচ্ছেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী রবার্টসন সোমবার নেরোকার বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথমার্ধে চেন্নাই তিন গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু শেষ ৪৫ মিনিটে চেন্নাই তিন গোল খায়। রবার্টসন মনে করছেন ‘বেশি উচ্চতায় খেলা হওয়ায় চেন্নাইয়ের এই পদস্খলন। ০-৩ থেকে ৩-৩ হওয়ার নজির জাতীয় লিগ বা আই লিগে নেই। ম্যাচের শেষেই তাই ইস্ট বেঙ্গলের সহকারী কোচ তথা ভিডিও অ্যানালিস্ট মারিওর মতোই চাঙ্গা রিয়াল কাশ্মীর কোচ রবার্টসন। এই ম্যাচ দেখার পর তাঁর স্থির বিশ্বাস অ্যাওয়ে ম্যাচে নেরোকাকে হারানো বেশ কঠিন।
এদিকে, সোমবার মোহন বাগান মাঠে এসেছিলেন ক্লাবকে প্রথমবার জাতীয় লিগ দেওয়া কোচ চাটুনি। সেই দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য ছিলেন সত্যজিৎ চ্যাটার্জি। এখন সত্যজিৎ মোহন বাগানের কোষাধ্যক্ষ। সত্যজিৎ বলেন, ‘সেবার প্রথম ম্যাচে বিমল ঘোষের এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে আমরা হেরে যাই। তারপর মুম্বইয়ের হোটেলে একটি টিম মিটিং করি। সেই মিটিংই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। পুরানো দিনের সেই কাহিনীই উঠে এল আলোচনায়।’