কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বহরমপুর শহরে সুইমিং অ্যাকাডেমি গড়ার দাবি অনেকদিনের। সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন মহল এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দাবি জানিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ওই দাবি নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নজরে আনা হয়। এরপর রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের কাছে এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। দু’মাস আগে সেই দপ্তরের নির্দেশে ওই প্রকল্প নিয়ে ডিপিআর ও প্ল্যান এস্টিমেট তৈরি করা হয়। প্রায় সাড়ে ৫কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে ডিপিআর ও এস্টিমেটে উল্লেখ করা হয়েছে। পুকুরের মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন অনুমোদন মিললেই ওই প্রকল্প নিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। তাঁর আশা, এক-দু’দিনের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বিভিন্ন মহলের দাবি অনুসারে সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে থাকা জমিতে ওই প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্র সদনের কাছে মোট জমির পরিমাণ ২.৩৭একর। যারমধ্যে ০.৯৪একর জমির উপর পুকুর রয়েছে। বাকি জমি ফাঁকা। গোরাবাজার মৌজায় অবস্থিত সংশ্লিষ্ট জমির জেএল নম্বর-৯১। প্লট নম্বর ৫৯২ ও ৫৯৩। এই জমি সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন দেখভাল করলেও তা জেলাশাসকের নামে রয়েছে। তাই এই বেহাল পুকুর ঘিরে আধুনিক সুইমিং অ্যাকাডেমি গড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জেলায় ১৯৪৩সালে সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন গড়া হয়। এই অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত গঙ্গা নদীতে ৮১কিলোমিটার সাঁতার সুনাম অর্জন করেছে। এবার অ্যাসোসিয়েশনের বেহাল পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পাম্প চালিয়ে পুকুরের জল তোলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই পুকুরের মাঝখানে গভীরতা প্রায় ১২ফুট। আর পাড়ের কাছে গভীরতা প্রায় ৮ফুট। পুকুরের জলস্তর পর্যন্ত লোহার কোনও রেলিং নেই। তাই জল তোলার পর পুকুরের নীচে কংক্রিটের করা হবে। তারপর জলস্তর পর্যন্ত চারপাশে লোহার রেলিং দেওয়া হবে।
এছাড়া, পুকুরের চারপাশে পাকা ঘাট, ডাইভিং(ডিগবাজি/ভল্ট)পুল, সাঁতারুদের জন্য ঘাটে টাচ বোর্ড ও টাচ ক্যামেরা, পুরুষ ও মহিলাদের পোশাক বদলের রুম, শৌচাগার, পাম্প স্টেশন প্রভৃতি সেখানে গড়া হবে। পাকা ঘাটে বসানো হবে টাইলস। সীমানা প্রাচীর ও আলোয় সাজিয়ে তোলা হবে গোটা এলাকা। পরবর্তীতে এখানে দর্শকদের জন্য গ্যালারিও নির্মাণ করা হবে। মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবেন্দ্রনাথ দাস বলেন, জেলায় প্রতিভাবান সাঁতারুর অভাব নেই। শুধুমাত্র উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে প্রতিভার বিকাশ ঘটছে না। এবার তা পূরণ হতে চলেছে।