শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
আরামবাগে ২০ মে ভোট। ভোটের মুখে তৃণমূল সুপ্রিমোর সভা ঘিরে উচ্ছ্বসিত ঘাসফুল শিবির। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই মাঠেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করেন। উপভোক্তাদের হাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধার শংসাপত্র ও সরঞ্জাম তুলে দেন। এছাড়াও দুশোর অধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৭টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। দীপক অধিকারীকে পাশে রেখে ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টার প্লান প্রকল্পের রূপায়ণ করবেন। প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্ত রাজ্যজুড়ে হইচই ফেলে দেয়। মার্চ মাসের ১ তারিখে কালীপুর মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এসে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই প্রধানের সভা আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র প্রচারের আলোয় চলে আসে। প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে আরামবাগ জয় নিয়ে দুই পক্ষ সমান লড়াই চালাচ্ছে। যুযুধান দুই পক্ষের লড়াই ঘিরে ভোটের প্রচার জমে উঠেছে। তৃণমূলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব ধারাবাহিক প্রচার চালাচ্ছেন। প্রার্থী লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় কর্মী সমর্থক নিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি করছেন। আরামবাগ আসন ধরে রাখতে জোড়াফুল শিবির এবার মরিয়া। গেরুয়া শিবিরও এই কেন্দ্র দখলে লাগাতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মিতালি বাগ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বুধবার আসছেন। তিনি আমার ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমাকে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা পাঠিয়েছেন। দিদিকে দেখতে লক্ষাধিক মানুষ আসবেন। তাঁর নির্দেশ ও গণদেবতার আশীর্বাদ নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। আরামবাগ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শিশির সরকার বলেন, সভার প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গত কয়েকদিন ধরে দলের নেতা কর্মীরা কাজ করেছেন। পুলিস প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই মাঠের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে গেছেন। খানাকুল-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি রমেন প্রামাণিক বলেন, খানাকুলে প্রার্থীর ওপর যে হামলা হয়েছে, তার নিন্দার ভাষা নেই। আকস্মিক এই হামলার পর দলের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন। এই হামলার জবাব আমরাও দিতে পারতাম। কিন্তু দিদির নির্দেশ, বদলা নয়, বদল চাইকে আমরা মান্যতা দিয়েছি। সভা থেকে তিনি যে বার্তা দেবেন, তাই নিয়ে আমরা ঘরে ঘরে প্রচার চালাব। আরামবাগ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ পর্যন্ত মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বার্তা ছাড়া আর কিছু দেননি। তাঁর এই সফরে ভোটের ফলাফলে কোন পরিবর্তন হবে না। আরামবাগের মানুষ চাইছেন, শুধু ভোটটা দিতে দেওয়া হোক।