শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
শিল্প না থাকায় কাজের খোঁজে মুর্শিদাবাদ থেকে বিভিন্ন জেলা ও ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন বেকার যুবকরা। কখনও আবার বিদেশেও পাড়ি দেন কাজের সন্ধানে। অনেকে আবার দু-তিন বছরের জন্য চলে যান আরবে। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় আট লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। ভিনরাজ্যে থাকা সবচেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছে ডোমকল ও জলঙ্গিতে। তবে, জঙ্গিপুর মহকুমায় রঘুনাথগঞ্জ-১ ও রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকেরও প্রচুর যুবক ভিনরাজ্যে কাজে যান। যদিও বাইরে থাকলেও ভোটের সময় কাজ ফেলে ছুটে আসেন অনেকেই। সোমবার তাঁদের দলে দলে ঘরে ফিরতে দেখা যায়। ওইদিন ট্রেন থেকে বাস ও ফেরিঘাটগুলিতে ব্যাপক ভিড়ের ছবি দেখা যায়। এদিন সকাল থেকেই জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সূতি ও সাগরদিঘিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে। জঙ্গিপুর মহকুমার কয়েকটি বুথে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়ায় দীর্ঘক্ষণ ভোটগ্রহণ পর্ব বন্ধ থাকলেও পরে চালু হয়। তবে, এদিন ভোটের শেষে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই তেমন কোনও অভিযোগ করতে দেখা যায়নি।
জঙ্গিপুর, মিঠিপুরের যুবক মাসুম শেখ ঝাড়খণ্ডে থাকেন। গত রবিবার তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বলেন, আমি ঝাড়খণ্ডে থাকি। ভোট দেব বলে চলে এলাম। দু’দিন থেকে আবার চলে যাব। কয়েকটি দিন বাড়িতে কাটানোও হল, আবার ভোটটাও দেওয়া হল। জঙ্গিপুরের যুবক আমির শেখ কলকাতায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে রোজার ঈদ কাটিয়ে কয়েকদিন আগেই কাজে গিয়েছিলাম। গ্রামের নেতারা ফোন করছিলেন। তাই ভোট দিতে চলে এলাম। আবার চলে যাব। কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, একেবারে ভোটের সময় আসব বলে ঈদের আসিনি। এদিন ভোট দিয়েছি। পঞ্চায়েত বা পুরসভা ভোটে বাইরে থাকা অনেক ভোটারই এবার লোকসভা ভোটে নিজের বাড়ি ফিরেছেন। তবে ভোটারদের অধিকাংশের মত, এবার শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। বাইরের রাজ্যের ভোটের মতো আমরা সকলে এই ছবিটাই দেখতে চাই।