আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দাবদাহের কারণে বেলা ১০টার পর থেকেই এলাকার রাস্তাঘাট নির্জন হয়ে পড়ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরোতে চাইছেন না। এমন পরিস্থিতিতে মহকুমার বিভিন্ন রুটে বেলা বাড়তেই বাস চলাচল কমে যাচ্ছে। দুপুরের দিকে কয়েকঘণ্টা বাস চলাচল কার্যত বন্ধ থাকছে। সারাদিনে যে কয়েকটি বাস চলাচল করছে, তাতেও হাতে গোনা যাত্রী দেখা যাচ্ছে।
কান্দির উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৪০টি বাস চলাচল করে। যদিও গত এক সপ্তাহ ধরে বাস চলাচল অনেক কমে গিয়েছে। যাত্রী না মেলায় মালিকরা বাস বসিয়ে রাখছেন। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাস্তায় কয়েকটি বাস চালানো হচ্ছে। তাতেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাসমালিকরা জানান।
এবিষয়ে কান্দির বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, দুপুরের দিকে বাসে মাত্র কয়েকজন করে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। এতে বাস চালানো খুব মুশকিল হয়ে পড়ছে। তাই বাস মালিকরা ওই চার ঘণ্টা বাস বসিয়ে রাখছেন। এতে বাসের কর্মীরাও সমস্যায় পড়ছেন।
যদিও লোকসভা ভোটের কারণে এলাকায় মিটিং-মিছিল লেগেই রয়েছে। আর বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতানেত্রীদের সভায় দূরদরান্ত থেকে কর্মীদের বাসে নিয়ে আসা হচ্ছে। যার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বাস ভাড়া নিচ্ছে। সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী কান্দি এলাকায় দু’টি সভা করেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাও সভা করেছেন। আরও ছোটখাট সভা লেগে রয়েছে। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বাস ভাড়া দিয়ে কান্দির বাস মালিকরা ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিচ্ছেন।
কান্দির বাস মালিক সুবীর দত্ত বলেন, এই দাবদাহের মধ্যে নির্দিষ্ট রুটে বাস চালিয়ে লোকসান ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মিটিং-মিছিলে বাস নেওয়ায় কিছুটা সুরাহা হচ্ছে। ভোটের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যদি বাসভাড়া না নিত, তাহলে কর্মীদের মজুরি দিতে পারতাম না।