শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলা মতুয়া মহাসঙ্ঘের কার্যকরী সভাপতি ননি সিংহ বলেন, আমরা কেউই বিজেপির বিরুদ্ধে নই। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব আমাদের সম্মান দিচ্ছে না। প্রচারেও ডাকছে না। বিজেপির হয়ে ভোট করব কি না তা নিয়ে ঠাকুরবাড়ি থেকেও স্পষ্ট নির্দেশ আসেনি। প্রার্থীও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আমাদের কোনও গুরুত্ব নেই। মতুয়াদের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তা নিয়েও তারা কিছু বলছে না। সম্মান না দিলে আমরা প্রচার করব না।
বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোট একটা ফ্যাক্টর। কাটোয়া, কালনা, জামালপুর এবং মেমারি এলাকায় অনেক মতুয়া ভোটার রয়েছেন। শর্ত দিয়ে সিএএ আইন পাশ হওয়ায় মতুয়াদের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এবার মতুয়াদের বিজেপি প্রভাবিত সংগঠন বেঁকে বসায় গেরুয়া শিবিরের রাতের ঘুম উবে গিয়েছে। মতুয়াদের দু’টি সংগঠন রয়েছে। একটি তৃণমূল প্রভাবিত, অন্যটি বিজেপিকে সমর্থন করে। তৃণমূলের মতুয়াদের সংগঠন যথেষ্টই শক্তিশালী।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা স্বপন দেবনাথ বলেন, বিজেপির ভাঁওতাবাজি মানুষ বুঝে গিয়েছে। সেই কারণেই ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমাদের নেত্রী আগেই জানিয়েছেন, বিজেপি হাজার চেষ্টা করলেও কারও নাগরিকত্ব কাড়তে পারবে না। তিনি কথা দিলে তা রাখেন।
বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বলেন, মতুয়ারা কার সঙ্গে রয়েছেন, তা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনই বোঝা গিয়েছে। দলে কারও কারও মান অভিমান রয়েছে। তা মিটে যাবে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে।
মতুয়া সংগঠনের এক নেতা বলেন, প্রার্থীর ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়ে যাবে। মতুয়া সংগঠন সব সময় মানুষের পাশে থাকে। সংগঠনকে গুরুত্ব না দিলে তিনি পরিণাম টের পাবেন। সংগঠনের সব নেতাই বসে রয়েছেন। প্রবীণ নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিজেপির আদি নেতাদের একাংশ মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আদিরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। বহিরাগতকে কেন প্রার্থী করা হল, তা নিয়ে তাঁরা সরব হয়েছেন। অভিমানে বিজেপির এক রাজ্য কমিটির নেতা দল ছেড়েছেন। তিনি তৃণমূলের পতকা হাতে নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের বড় অংশ বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। এবার তারা বেঁকে বসলে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে পারে।