আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
এদিন দুপুরে বিধানসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে নিজের হাতে লেখা ইস্তফাপত্র জমা দেন মুকুটমণি অধিকারী। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ইস্তফা আমাকে দিতেই হতো। বিধায়ক হিসেবে রানাঘাট দক্ষিণের মানুষের পাশে দীর্ঘদিন ছিলাম। আশা করছি লোকসভার লড়াইয়ে এই কেন্দ্রের মানুষও এবার আমার পাশেই থাকবেন। পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুকুটমণির এখন আমও গেল আর ছালাও গেল অবস্থা। টিকিটের লোভেই তৃণমূলে গিয়েছে ও। হারের পর দুই কুলই যাবে। বিধায়ক পদ থেকে মুকুটমণি ইস্তফা নেওয়ার পরেই রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে, তা নিয়ে দলের অন্দরে ও বাইরে, দুই তরফেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে প্রায় ১৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের বর্ণালি দেকে হারিয়েছিলেন মুকুটমণি। বর্ণালি দে এখন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী। মুকুটমণির হয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে মহিলা বিগ্রেডকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামেগঞ্জে রীতিমত দেখা মিলছে বর্ণালির।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে মুকুটমণি জয় নিশ্চিত করলে তাহলে কি ফের বর্ণালিকেই উপনির্বাচনে প্রার্থী করবে তৃণমূল? এই প্রসঙ্গে বর্ণালি দেকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দল যখন যেমন দায়িত্ব দিয়েছে সেটাই পালন করেছি। মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী হিসেবে নারীশক্তির ভোট যাতে আমাদের প্রার্থীর দিকেই যায় তারই কাজ করছি। যদিও রাজনৈতিক মহল বলছে, রানাঘাটে দক্ষিণে উপনির্বাচন যখনই হোক না কেন, তৃণমূলের কাছে এখানে জয় আনা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আবিররঞ্জন বিশ্বাসের হাত ধরে এই কেন্দ্রে প্রথমবার তৃণমূলের জয় আসে। কিন্তু এরপর ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রটি সিপিএম এবং পরে একুশের বিধানসভায় বিজেপির দখলে যায়। এই বিষয়ে জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপাতত আমরা উপনির্বাচনের ব্যাপারে ভাবছি না। রানাঘাট লোকসভায় জয় আনাই এখন টার্গেট। তবে দল যাকেই প্রার্থী করবে, উপনির্বাচনে তৃণমূলেরই জয় নিশ্চিত। • নিজস্ব চিত্র