আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
কিছুদিন আগে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস ১৩ বছরের তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। সেখানে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। বাংলায় ছাপা সেই প্রচারপত্র গোটা জেলার বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুব তৃণমূল। সোমবার জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দলের নেতা ও কর্মীরা খড়্গপুর রেল এলাকা গোলবাজারে প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে প্রচার চালান। ছিলেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা কাউন্সিলার প্রদীপ সরকার, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হেমা চৌবে প্রমুখ। ব্যবসায়ীদের হাতে এদিন উন্নয়নের তালিকা তুলে দেওয়া হয়। প্রদীপবাবু বলেন, প্রতিটি ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে আমরা তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, এখানে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যা আছে। রেলের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ আছে। দিলীপ ঘোষ এমপি থাকাকালীন সেই সব সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। তাই আমরা এই এলাকায় প্রচারে জোর দিয়েছি। তাঁর আরও দাবি, ব্যবসায়ীরা তাঁদের সমস্যার কথা আমাদের কাছে তুলে ধরেন। কয়েক দিন আগে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের কাছেও রেল এালাকার ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। রেলের প্রতি তাঁদের ক্ষোভের প্রকাশ হয়েছিল। বিজেপিকে ভোট দিয়েও তাদের সমস্যার যে কোনও সমাধান হয়নি, বিজেপি প্রার্থীর কাছে ব্যবসায়ীরা তাও তুলে ধরেছিলেন।
দিলীপবাবু সমস্যার সমাধান করতে পারেননি, এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। দলের নেত্রী তথা কাউন্সিলার অনুশ্রী বেহেরা বলেন, দিলীপবাবু ব্যবসায়ীদের অনেক সমস্যার যেমন সমাধান করেছেন। তেমনই তাঁর উদ্যোগে রেল এলাকায় অনেক উন্নয়নের কাজও হয়েছে। ভোট বাক্সে তার প্রতিফলন দেখতে পারে তৃণমূল। তৃণমূল যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি বলেন, এদিন ব্যবসায়ীদের থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আমরা প্রতিটি ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছি। তাঁদের কাছে তৃণমূলকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছি। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন, এদিন আমরা বাংলায় ছাপা প্রচারপত্র তাদের হাতে তুলে দিই। তাঁরা আমাদের কাছে আর্জি জানান, ইংরেজি ও তেলুগু ভাষায় প্রচারপত্র ছাপা হোক। তাতে ওঁদের পক্ষে উন্নয়নের খতিয়ান জানা সহজ হবে। সেই মতো যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে তা ইংরেজি ও তেলুগু ভাষায় ছেপে খড়্গপুর শহরে বিলি করা হবে।