পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘দুর্গাপুরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা নিবিড় জনসংযোগ করছি। ক্ষোভ, অসন্তোষ থাকলে তা মেটানো হচ্ছে। প্রতি বুথেই লিড নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ভোটের পরই বুথ ধরে আমরা ফলাফল বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’
ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদ এবার প্রার্থী বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের। দুর্গাপুরের উপর ভোটের ফলাফলের অনেককিছুই নির্ভর করছে। ২০১৯ সালেদুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা থেকে ব্যাপক লিড নিয়ে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবারও তাদের ভরসা দুর্গাপুর। কিন্তু ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে। দুর্গাপুরে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের প্রচারে তেমন ভিড় হচ্ছে না। শিল্পাঞ্চলের পরিচিত কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীকে নিয়েই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চায়ে পে চর্চা করছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। উল্টো দিকে কীর্তি আজাদের প্রচারে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ঢল নামছে। সোমবার এমনই ঢল নেমেছিল দুর্গাপুরের বিধাননগর হাউসিং কলোনিতে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে মিছিল যাচ্ছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। দুই ওয়ার্ডে মিলিয়ে শাসক দলের প্রচার যেন মহামিছিল। মিছিল থেকে আশি বছর বয়সী বই দোকানের মালিক বলছিলেন, ‘লোক দেখে কিন্তু ভোট গুনবেন না। এখানে অনেক তরমুজ রয়েছে। যাঁরা বাইরে সবুজ। ঘুরছেন তৃণমূলে। ভোট দেবেন পদ্ম-প্রতীকে। না হলে তৃণমূল এখানে বার বার হারে?’ শাসক দলের এক বর্ষীয়াণ নেতাও বলেই ফেললেন, ‘দুর্গাপুরে শ্রমিক সংগঠনগুলি মিছিল মিটিংয়ে যা লোক আনে, তাঁদের ভোট তৃণমূলে দেওয়াতে পারলে দল কোনওদিনই দুর্গাপুরে হারবে না।’
তৃণমূল এবার লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরাজয়ের গ্লানি মুছতে আদা জল খেয়ে নেমেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে করা হচ্ছে জনগর্জন যাত্রা। সেখানে সকালে ওয়েলকাম ইভেন্টে কোনও মন্দির, মসজিদ বা গির্জায় জমায়েত। তারপর বাড়ি বাড়ি প্রচার। এরপর মুখোমুখি উপভোক্তা কর্মসূচি। তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া। পরে শুরু হচ্ছে কর্মীসভা। দিনভর এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে দুর্গাপুরের নেতৃত্ব। বিভিন্ন স্তর থেকে উঠে আসছে অভিযোগ। তা মেটানোরও চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিটি কর্মসূচিতেই তরমুজ নেতাদের ছবি সামনে আসছে। ভোটের মুখে দল কোনও ব্যবস্থা না নিলেও জানা গিয়েছে, তাঁরা আঁতশকাচের তলায় থাকছেন। স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, লোকসভায় নিজের ওয়ার্ডে, নিজের বুথে হেরে গেলে পুরভোটে মাতব্বরি করার দিন শেষ। শ্রমিক নেতাদেরও বার্তা দেওয়া হয়েছে শ্রমিক সংগঠনের কাজ শ্লথ করে নিজের এলাকায় দলের লিড নিশ্চিত করতে হবে। না হলে হারাতে হতে পারে কারখানার ‘মধুভাণ্ড’ও।