পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
ইউসুফ এদিন ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের প্রশংসা করে বলেন, আমি মোয়াজ্জিন ঘর থেকে এসেছি। আমার বাবা ৩৫ বছর মসজিদে কাজ করেছেন। দাদুও সারা জীবন মসজিদে সময় দিয়েছেন। তাঁদের দোয়ায় আমরা দুই ভাই ক্রিকেট খেলেছি। দেশে-বিদেশে আমরা খেলার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্বকাপ জিতে দেশের মানুষকে উপহার দিয়েছি।
তাঁর জীবনের শৈশব ও যৌবনকে তিনি প্রথম ইনিংস বলে এদিন অভিহিত করেন। রাজনীতিতে পা দেওয়ার পর থেকে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন পাঠান। প্রথম ইনিংসে তিনি যেমন অত্যন্ত সফল হয়েছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও যেন সফল হতে পারেন, তারজন্য মানুষের দোয়া চান। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার আশ্বাস দেন। ইউসুফ বলেন, এটা আমার জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস। আমার রাজনীতির কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। রাজনীতি করতে আসিনি, রাজনীতি করব না। তবে উন্নয়নের রাজনীতি অবশ্যই করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক আমাকে প্রার্থী করে পাঠিয়েছেন। আপনাদের ছেলে, ভাই ও বন্ধু হয়ে থাকব। আজীবন থেকে যাব।
তিনি বলেন, রাজ্যের সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। ইমাম মোয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছেন। আমিও আপনাদের উন্নয়নের জন্য এসেছি। উন্নয়নের জন্য কথা বলব। আমার আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি রাজনীতিতে কমজোর মানুষ। আপনারা সঙ্গে থাকলে আমার শক্তি বাড়বে। অডিটোরিয়ামে উপস্থিত লোকজন করতালি দিয়ে তাঁর পাশে থাকার ব্যাপারে সম্মতি জানান। ইউসুফ বলেন, আপনারা দশ পা এগলে আমি একশো পা এগব। দু’টি শব্দ বললে আমি ২০০ শব্দ বলব। আমি শুধু পাঁচ বছরের জন্য এখানে আসিনি। আমি যতদিন বাঁচব আপনাদের মাঝে থাকব বলেই এসেছি।
এদিন ইউসুফ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার, মুর্শিদাবাদের বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খান, বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও শাওনী সিংহরায় প্রমুখ। অপূর্ববাবু বলেন, আমার যে যার ধর্ম পালন করি। সব ধর্মের শেষ কথা হল শান্তি ও মানবসেবা। সেই ধর্ম আমার সকলে মানি। এই ধর্ম যখন বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে ভারতের সাম্প্রদায়িক শক্তি, তখন আমারা প্রতিবাদ করি।
এদিন বিকেলে দৌলতাবাদ ও গুরুদাসপুরে একটি নির্বাচনী রোড শো করেন ইউসুফ। তাঁকে দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করে। স্থানীয় যুবক-যুবতীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের প্রচারেও ইউসুফের সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়।