পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
গত বিধানসভা ভোটে রাজ্য রাজনীতির নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। সেই ভোট ঘিরে নন্দীগ্রামও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভোটের আগেই বয়াল-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা নিজেদের কব্জায় এনেছিল তৃণমূল। বলরামপুর গ্রামে বাড়ি ভাঙচুর ও হামলার প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে বিজেপির সন্ত্রাসের শিকার হন তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মাইতি। ২০২১সালে ২৭মার্চ হামলার ঘটনা ঘটে। এসএসকেএম হাসপাতালে কয়েকদিন কোমায় থাকার পর ৯এপ্রিল মারা যান। সেই ঘটনায় তৎকালীন বয়াল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পবিত্র কর সহ মোট ২৪জন বিজেপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন রবীন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী লক্ষ্মী মান্না। তাঁদের ছেলে সুশান্তকে হোমগার্ডের নিয়োগপত্র দেয় সরকার। এবার পঞ্চায়েত ভোটে বলরামপুর থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশান্ত মণ্ডল। তিনি নিহত রবীন্দ্রনাথ মান্নার শ্যালক। লক্ষ্মীদেবী বলেন, স্বামীর খুনের ঘটনায় মোট ১১জন গ্রেপ্তার হয়েছিল। বাকিরা বেশ কিছুদিন আত্মগোপন করে পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিন পায়। রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়ানোয় আমরা কোনওরকমে বেঁচে রয়েছি। এরকম ঘটনা আর যেন কোনও পরিবারে না হয়।
২০২১সালে ২মে ভোটের ফল প্রকাশের পর নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চিল্লগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির উপর হামলা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ওই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তভার পায়। হলদিয়ায় সিবিআই ক্যাম্পে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠিয়ে একসঙ্গে ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আবু তাহের সহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেলে যান। এই মুহূর্তে সকলেই জামিনে আছেন। তবে আদালতের নির্দেশে ১২জন জেলার বাইরে। আবু তাহের, শেখ সাহাবুদ্দিন, শেখ হাবিবুলের মতো ব্লকের প্রথমসারির নেতারা পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকতে পারবেন না বলে শর্ত আরোপ করেছে আদালত। লোকসভা ভোটের সময়ও তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকতে পারবেন না।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্না খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পবিত্র কর পদোন্নতি পেয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি হয়েছেন। ওই বিজেপি নেতা বলেন, ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই যুক্ত ছিলাম না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমার নাম জড়ানো হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক নির্বাচন কমিটির কনভেনার স্বদেশ দাস বলেন, চিল্লগ্রামের খুনের ঘটনায় গোটা ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম জড়ানো হয়েছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করা হয়েছিল। সিবিআইকে ব্যবহার করে বিজেপি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করছে।