পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
তবে একঘেয়ে ‘অমুক চিহ্নে ভোট দিন’ লেখাই নয়, দেওয়াল লিখনে আজ প্রকাশ পাচ্ছে নানা ধরনের শিল্প। মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ছড়া, কার্টুন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মজা তৈরি হচ্ছে। সাইন বোর্ড লেখা, আঁকা শেখানো, প্রিন্টিংয়ের কাজ করা মানুষগুলোর হাতে সেভাবে কাজ নেই। লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে তাই শিল্পীরা সকাল হলেই বাড়ি থেকে টুপি, ছাতা, রঙের বালতি, কৌটো, তুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। একের পর এক দেওয়াল লিখেই চলেছেন। একটা দেওয়াল লিখলে শিল্পীরা রং বাদে ২০০ টাকা পান।
দেওয়াল বড় হলে রেট বাড়ে। শুধু প্রতীক হলে আবার রেট কমে যায়। তবে ছড়া হলে রেট একটু বেড়ে যায়। কৃষ্ণগঞ্জের চন্দননগর এলাকার দেওয়াল লিখন খুব নজর কাড়ছে।
দেওয়াল লিখনে বিষয় বৈচিত্র্যও প্রচুর। কোথাও ছড়ায় লেখা হয়েছে, ‘মোদি তুমি দুষ্টু লোক। তোমার দাড়িতে উকুন হোক।’ কোথাও আঁকা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ‘দিদির গ্যারান্টি’র পাশেই উঁকি দিচ্ছে ‘মোদির গ্যারান্টি’। কোথাও আবার তৃণমূলের দুর্নীতিকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে।
শিল্পী নন্দদুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আমরা কাজ করছি। ভোট এলে আমরা স্নান খাওয়া ভুলে গিয়ে কাজ করি।’ বছর চুয়ান্নর দুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘গরমে দেওয়াল লিখতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তাও আমরা দু’টো পয়সার জন্য দিনে ১০টা দেওয়ালও লিখছি।’
মাঝবয়সি আরেক শিল্পী দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘আমরা সব দলের হয়েই দেওয়াল লিখি। এতে প্রতিদিন হাজার খানেক টাকা আয় হয়।’ ভোটের মুখে তাই গরমে কষ্ট হলেও বাড়তি এই রোজগার মুখে হাসি ফুটিয়েছে শিল্পীদের।