পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত মার্চ মাসে আরামবাগে এসেছিলেন। শহরের কালীপুর মাঠ থেকে রাজ্যের একাধিক প্রক্লল্পের ঘোষণা করেন। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক গুরুত্ব এরপর রাতারাতি বেড়ে যায়। রাজনৈতিক মহলের মত, তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী নির্বাচনেও যার প্রভাব পড়ে। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র উনিশের ভোটে অল্প মার্জিনে বিজেপির হাতছাড়া হয়। একুশের বিধানসভা ভোটে আরামবাগের চারটে বিধানসভা কেন্দ্রে অবশ্য বিজেপি জয়লাভ করে। আরামবাগ জয় নিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব এবার অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রীর সফর সেই উদ্দেশ্যকে সফল করতেই করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকেও এই সফর অক্সিজেন জুগিয়েছে। বিজেপির তরফে প্রার্থীর ভূমিপুত্রের পরিচয়ের ওপর জোর বাড়ানো হয়েছে। যদিও অরূপকান্তি দিগার দলের দক্ষ সংগঠক বা প্রভাবশালী জননেতা নন। সাংগঠনিক জেলার হাতে গোনা কয়েকজন নেতার ওপর ভর করে তাঁকে প্রচার করতে হচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের হেভিওয়েট নেতাদের এখনও তাঁর সঙ্গে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। তার জেরে বিজেপি কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছে। উল্টোদিকে তৃণমূলের প্রার্থীর হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বেচারাম মান্নার মতো নেতারা ইতিমধ্যেই আরামবাগ এসে জনসংযোগ কর্মসুচি, কর্মী সম্মেলন করছেন। তারকেশ্বর, হরিপাল, চন্দ্রকোণার তৃণমূলের বিধায়করা মাঠে নেমে লাগাতর প্রচার চালাচ্ছেন। তৃণমূলের সঙ্ঘবদ্ধ প্রচার কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ বাড়াচ্ছে।
সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, আমাদের প্রচারে এলাকাভিত্তিক উন্নয়নমূলক কাজ ও সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্প নিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির নেতারা ভালো করেই জানেন, উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে বিরোধী প্রচার করলে হিতে বিপরীত হবে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আগের ভোটগুলোতে উত্তেজনা তৈরি করে চলে গিয়েছিল। অশান্তির ফল ভুগেছিলেন নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। স্বাভাবিকভাবেই এবার ওঁরা মেপে পা ফেলছেন। তাতে অবশ্য লাভ হবে না। জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা প্রচার চালাচ্ছি।
তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে নেমে রাজনীতি করছি। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে উন্নয়নমূলক পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিজেপি জানে, গতবারের মতো এবারও এখানে হারবে। তাই হয়তো ওদের হেভিওয়েটদের এখনও দেখা যাচ্ছে না।
আরামবাগ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, দলের সকল স্তরের নেতা কর্মী সমর্থকরা প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমেছেন। প্রার্থী যেখানেই যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। আরামবাগে পঞ্চম দফায় ভোট হবে। তারকেশ্বরে প্রচারে রাজ্যের নেতারা এসেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি নেতারাও আরামবাগে প্রচারে আসবেন। তার প্রস্তুতি চলছে।