পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
ভগবানগোলা-১ ব্লকের সুন্দরপুর ও মহম্মদপুর পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে অবস্থিত মালিপাড়া মৌজা। ফি বছর গঙ্গার ভাঙন এলাকাবাসীর কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল। বর্ষায় গ্রামবাসীদের চোখের সামনে বসতভিটে, বিঘের পর বিঘে চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যেত। স্বভাবতই গঙ্গা মালিপাড়ার বাসিন্দাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাজ্য সেচদপ্তরের উদ্যোগে ভাঙন রোধে মালিপাড়া মৌজায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সাতশো মিটার পাড় বাঁধানো হয়। পাড় বাঁধানোর ফলে নদী তীরবর্তী সাতশো মিটার বরাবর স্বাভাবিক রাস্তা গড়ে ওঠায় গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটেছে। ভগবানগোলা-১ ব্লকের সুন্দরপুর পঞ্চায়েতের খেজুরবোনা, বসন্তপুর, বরবরিয়া, কুঠিরামপুর পঞ্চায়েতের দলেলপাড়া, মহম্মদপুর, শাওড়াগাছি এবং সাগরদিঘি ব্লকের চালতামারি, দিয়ার বালাগাছি প্রভৃতি ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দারা চাষাবাদ সহ জীবন জীবিকার কাজে উপকৃত হয়েছেন। অন্যদিকে ভগবানগোলা-২ ব্লকের বালাগাছি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পদ্মা। বর্ষার শুরুতেই পদ্মা ভরে ওঠে। শুরু হয় ভাঙন। ফি বছর পদ্মা ভাঙনে বালাগাছি গ্রামের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তেন। নদী ভাঙনের ফলে গ্রামবাসীদের দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধানে রাজ্য সেচ ও জলপথ দপ্তরের গঙ্গা অ্যান্টি ইরোশন ডিভিশন বালাগাছি এলাকায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মার তিনশো মিটার পাড় বাঁধিয়েছে। বালাগাছি গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ শেখ বলেন, নদী ভাঙনের কারণে বালাগাছি গ্রামের বহু পরিবার ভিটেমাটি, চাষের জমি হারিয়েছে। বর্ষার মাসগুলিতে রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হতো। পাড় বাঁধানোয় নদী গ্রাম থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে। বর্ষায় আর আতঙ্ক ঘিরে ধরে না বাসিন্দাদের। ভগবানগোলা উপ নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী রিয়াত হোসেন সরকার বলেন, নদী ভাঙন ভগবানগোলার মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল। তিন দশকের বেশি সময়ের শাসনকালে বামফ্রন্ট সরকার এখানকার মানুষের সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান রাজ্য সরকার উদ্যোগ নেওয়ায় সমস্যা মিটেছে। জোটের কংগ্রেস প্রার্থী অঞ্জু বিবি বলেন, কাজের নামে তৃণমূল নেতারা সরকারি অর্থ লুটেপুটে খেয়েছে। কাজ যতটা হয়েছে তার চেয়ে অনিয়ম বেশি হয়েছে।