নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এখনই গরম থেকে নিস্তার পাচ্ছে না শিল্পাঞ্চলবাসী। চলতি সপ্তাহে তাপপ্রবাহের পূর্বভাস রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্কুলে সুস্থ রাখা চ্যালেঞ্জ শিক্ষক মহলের। প্রবল গরমে যাতে শরীরে জলের ঘাটতি না হয় তারজন্য এবার জেলার ১০১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘ওয়াটার বেল’ বাজতে চলেছে। মঙ্গলবারই পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনাথ মজুমদার এসআইদের মাধ্যমে প্রতিটি স্কুলে লিখিত নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। সেখানে প্রতি ঘণ্টায় ‘ওয়াটার বেল’ বাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে পড়ুয়াদের শরীরে জলের ঘাটতি না দেখা দেয়। রথীন্দ্রনাথ বাবু বলেন, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে মর্নিং ক্লাস হচ্ছে। সকাল থেকেই রোদ ও গরম। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা প্রতি ঘণ্টায় ওয়াটার বেল বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভোটের উত্তাপের পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলজুড়ে এখন রোদের তেজও চড়া। কয়েক দিনের মেঘলা পরিবেশ কাটিয়ে দু’দিন ধরেই কাঠফাটা রোদ আসানসোল দুর্গাপুরে। সকাল দশটার পর থেকেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। খুব প্রয়োজন হলে মানুষ মাথায় ছাতা নিয়ে কাপড়ে মুখ ঢেকে, সানগ্লাস পরে বের হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে পড়ুয়াদের নিয়ে। এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে ভোট ও গরমের ছুটি উপলক্ষ্যে ৬ মে থেকে স্কুল বন্ধ হবে। তার আগে মর্নিং স্কুল হলেও গরমে নাকাল হচ্ছে পড়ুয়ারা। শরীরে জলের ঘাটতি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।