পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বড়দাবাড় বাসস্টপ থেকে কিছুটা দূরে তপতী মান্নার বাড়ি। ১২ বছর আগে স্বামী মিলন মান্নার মৃত্যু হয়েছে। এক ছেলে ও মেয়ের সংসার ছিল। দু’বছর আগে ছেলে আত্মহত্যা করেন। পাঁশকুড়ার চন্দনবেড়িয়া গ্রামে মেয়ের বিয়ে হয়। ১১ বছরের নাতি প্রিয়জিৎ খাঁড়া তপতীদেবীর কাছে থাকত। ঘটনার দুই-তিনদিন আগে প্রিয়জিৎ নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। বড়দাবাড় বাজারে তপতীদেবীর স্বামী একটি দোকান চালাতেন। মূলত পাম্প থেকে জল তুলে সব্জি, মাছ ও পোলট্রির গাড়ি ধোয়া হতো। স্বামীর অবর্তমানে ওই দোকান চালাতেন তপতীদেবী। সোমবার তপতীদেবী বাড়িতে একা ছিলেন। বাড়ির সামনের দরজায় তালা লাগনো ছিল। দুষ্কৃতীরা স্থানীয়দের নজর এড়িয়ে পিছনের দরজা দিয়ে তপতীদেবীর বাড়িতে ঢোকে। তারপর ওই প্রৌঢ়াকে খুন করে নগদ টাকা পয়সা ও গয়নাগাটি নিয়ে চম্পট দেয়। বিকেল ৪টে নাগাদ ওই প্রৌঢ়ার জামাই বাইকে ছেলেকে তপতীদেবীর বাড়ির সামনে নামিয়ে ফিরে যান। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া প্রিয়জিৎ দিদার বাড়ির সামনের দরজায় তালা ঝোলানো দেখে। সন্ধ্যা নামলে মৃত প্রৌঢ়ার ভাশুর পিছনের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন। সেইসময় বাড়ির মধ্যে রক্ত দেখে তিনি আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তারপর বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির ভিতর ঢুকে তপতীদেবীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে।