কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বোলপুরের পাশেই কবিগুরুর কর্মভূমি শান্তিনিকেতন। তাই প্রতিদিন কয়েকহাজার পর্যটক বোলপুর ও শান্তিনিকেতনে এসে থাকেন। শহরের জনসংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষ নানা কাজের জন্য বোলপুর শহরে ভিড় করেন। যানজটের কারণে সবাইকেই নাজেহাল হতে হয়।
এই শহরে দিনের ব্যস্ত সময়ে একাধিকবার ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। চৌরাস্তা, স্টেশন রোড, চিত্রা মোড়, লজ মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় যানজটে পথচারী ও গাড়িচালকরা ভোগান্তির মুখে পড়েন। শহরের দু’টি প্রধান রাস্তাই খুব সরু। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা ও অবৈধ পার্কিংয়ের জেরে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এর উপর রয়েছে অগুনতি টোটো ও অবৈধ মোটরভ্যান। বোলপুর শহরে প্রায় ১০ হাজার টোটো চলাচল করে। অনেক টোটোই আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে আসে। যানজটের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের রাস্তায় অবাধে চলতে থাকা বালিপাথর বোঝাই ডাম্পার ও মালবাহী ট্রাক। বোলপুর শহরে তাই যানজট সমস্যা মেটানোর দাবি দীর্ঘদিনের।
শহরে যানজট সমস্যা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা বলেন, ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে বোলপুরের যানজট কমাতে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তৃণমূল সরকার। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, যেখানে সেখানে পার্কিং চলছে। সামান্য পথ যেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আমি জয়ী হলে প্রথমেই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।
বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী শ্যামলী প্রধান বলেন, শুধু বোলপুর শহর নয়, কোথাও কোনওরকম কাজ হয়নি। ভারী যানবাহনের অবাধ যাতায়াতে যানজট হচ্ছে। রাস্তায় ধুলো ওড়ায় স্থানীয়রা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন।
বোলপুর কেন্দ্রে এবছর তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অসিত মাল। তিনি এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদও। তিনি বলেন, বোলপুর শহরকে সাজিয়ে তোলা ও তার সৌন্দর্যায়নের জন্য সরকারের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। বোলপুর পুরসভা এই কাজে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। শহরের যানজট সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র