কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের পাড়ুই থানার কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় সেহালাই গ্রাম। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সেখানে কখনওই জিততে পারেনি তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ৪০০ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিল। সেসময় বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কানাইলালবাবু। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে গ্রামের ৮ নম্বর বুথের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপরই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমবারের মতন ৪০০ ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে এলাকার দখল নেয় তৃণমূল। তার কারণ কানাইলালবাবুর সততা। ১৫ বছর ধরে প্রতিদিন সাইকেলে করে সব্জি বিক্রি করেন তিনি। ভোরবেলায় উঠে বাজারে গিয়ে সব্জি কিনে গুরুপল্লি, ইন্দিরাপল্লি, শ্যামবাটি, ফুলডাঙা, গোয়ালপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করেন। দুপুরের পর থেকে মানুষের সেবাই তাঁর কাজ হয়ে ওঠে। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে স্বেচ্ছায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতেন। এখন রাজনৈতিক দলের কাজকর্ম সামলান। যা করতে গিয়ে একাধিক দিন নিজের ব্যবসা করা হয়ে ওঠে না। তাতেও তাঁর আপত্তি নেই। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও এখনও তাঁর মাটির বাড়ি। সঞ্চয়ও তেমন কিছু নেই। বাড়িতে মা, বাবা, দাদা, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বড় সংসার। রোজগেরে বলতে তিনি ও পেশায় ঠিকাশ্রমিক তাঁর দাদা।
কানাইলালবাবু বলেন, আমার এভাবেই মানুষের পাশে থাকতে ভালো লাগে। ভোরে উঠে সব্জি ফেরি করার পর দুপুরে নিজের গ্রামের সমস্যা মেটাই। অভাব থাকলেও কোনওদিন অন্য কিছু মাথায় আসেনি। এতদিন যখন সংসার চলেছে, আগামী দিনেও কোনও অসুবিধা হবে না।