কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সোমবার দুবরাজপুর থানার উদ্যোগে রামনবমী উপলক্ষ্যে সর্বদলীয় ও সর্বধর্মের বিশিষ্ট মানুষজনদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। থানা চত্বরেই এই মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি(ক্রাইম) প্রতীক রায়, স্থানীয় বিধায়ক অনুপকুমার সাহা, দুবরাজপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা সৌকত আলি সহ জপ্য শ্রীরাম সেবা সমিতির সদস্যরা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, প্রত্যেক বছরের মতো এ’বছরও শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমীর র্যালি হবে। সেই মিছিল নির্দিষ্ট রুট ধরে পরিক্রমা করবে। নির্বাচনী আচরণ বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে। পুলিসের পাশাপাশি নিজেদের ভলান্টিয়ার রাখতে হবে। ডিজে বাজানো থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। আর কোনওভাবেই অস্ত্রের মিছিল করা যাবে না বলে পরিষ্কারভাবে পুলিসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিধায়ক থেকে স্থানীয় পুরসভাকেও রাম নবমীর মিছিল যাতে সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা যায়, সেই আহ্বান রাখেন। অন্যদিকে, জেলার প্রায় সমস্ত থানাতেই এই শান্তি বৈঠক হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিউড়ির বেশ কয়েক জায়গায় বিশাল আকারে রামনবমীর মিছিল হবে। বিশেষ করে কড়িধ্যায় বিশাল র্যালি হবে। দু’টি আলাদা আলাদা র্যালি বেরনোর কথাও শোনা যাচ্ছে। সেখানে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে স্থানীয় বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর। একইভাবে সিউড়ি শহরেও র্যালি হবে। সেখানে রামের বিশালাকার সব কাটআউট দেখা যাবে। গতবার জেলা বেশ কয়েক জায়গায় অস্ত্রের ব্যবহার দেখা গিয়েছিল। এবার যেহেতু ভোটের মরশুম, তাই আরও কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ড্রোন উড়িয়ে মিছিলের গতিবিধির দিকে নজর রাখা হবে।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, রামপুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশিকা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিসকর্মী মোতায়েন থাকবেন। অশান্তিপ্রবণ এলাকাগুলিতে বাড়তি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একেবারেই সুষ্ঠভাবে র্যালি, পুজো হবে বলে আমরা আশাবাদী। দুবরাজপুরের জয় শ্রীরাম সেবা সমিতির সভাপতি দেবজ্যোতি সিংহ বলেন, আমাদের মিছিলে প্রচুর মানুষের ঢল নামে। তাই আমাদের তরফ থেকেও কিছু প্রস্তাব পুলিসের কাছে রেখেছি। সকাল ৮টা থেকে মিছিল শুরু হবে। যানজট যাতে না হয় সেদিকে আমাদের সবার নজর থাকবে।