কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
আইনজীবীদের চিঠি পাঠানোর পরই কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও কংগ্রেস সহ বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরই বিজেপি এভাবে বিচার বিভাগকে কাঠগড়ায় তুলেছে। এবারও একই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের অভিযোগ, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি সবচেয়ে বড় আঘাত বিজেপির তরফ থেকেই আসছে।’ ওই ২১ জন প্রাক্তন বিচারপতিকে ‘মোদি ঘনিষ্ঠ’ দাবি করে রমেশ বলেন, ‘চিঠি লেখকদের তালিকায় চতুর্থ নামটি দেখুন, তাহলেই এই চিঠির উদ্দেশ্য, পটভূমি সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ রমেশের আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এম আর শাহ। বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর একাধিক রায় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এছাড়া পদে থাকাকালীন তিনি একাধিকবার প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসাও করেছেন। রমেশের অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি, মণিপুরে দাঙ্গা সহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্র। আর তারপর বিচার ব্যবস্থাকে ভয় দেখানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী যে পরিকল্পনা করেছেন, এই চিঠি তারই অংশ। এর আগে ৬০০ জন ‘মোদি ঘনিষ্ঠ’ আইনজীবীদের চিঠির সঙ্গেই এই চিঠিকে রাখা উচিত।’
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দীপক ভার্মা, কৃষ্ণা মুরারি, দীনেশ মাহেশ্বরী এবং এম আর শাহ সহ বাকি প্রাক্তন বিচারপতিরা চিঠিতে দাবি করেছেন যে, কয়েকটি গোষ্ঠী আদালত ও বিচার ব্যবস্থার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এর জন্য ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এতে শুধু বিচারব্যবস্থার পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি বিচারপতি ও আইনের রক্ষকদের নিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই গোষ্ঠীগুলি নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী কোনও রায়ের প্রশংসা বা সমালোচনা করছে বলেও দাবি প্রাক্তন বিচারপতিদের। বিচার ব্যবস্থার পবিত্রতা ও স্বাধীনতা বজায় রাখতে এই ধরনের চাপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টকে পদক্ষেপ করার আর্জিও জানানো হয়েছে চিঠিতে।