কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এদিন ইউসুফ পাঠান বক্তব্যের প্রথমেই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান সকলকে। তিনি বলেন, আমি শুধু ভোটে জেতার জন্য এখানে আসিনি। এখানকার মানুষের সঙ্গে মিলে মিশে থেকে যেতে চাই আজীবন। তাই এখানে থাকার রসদ কর্মীদের দিতে হবে। শুধু পাঁচবছর বলে নয়, আজীবন এখানকার বিভিন্ন বিষয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন আমি চাই।
পরে তিনি বলেন, এই জেলায় শিক্ষা ব্যবস্থা ভালোই রয়েছে। কিন্তু এর পরিকাঠামোর আরও উন্নতির প্রয়োজন। জয়ী হওয়ার পর পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা করে যাব। একইভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থারও উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এখন নতুন নতুন টেকনোলজি এসেছে। সেই টেকনোলজি এখানেও ব্যবহার হওয়া উচিত। যাতে এখানকার বাসিন্দারা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নত টেকনোলজির সুবিধা পান তার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। আবার খেলাধুলার উন্নতির জন্য এখানে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরি করে স্থানীয়ভাবে ভালো খেলোয়াড় তৈরি করাও আমার স্বপ্ন। জয়ী হওয়ার পর সমস্ত দাবি পার্লামেন্ট তুলে ধরা হবে।
এদিকে এদিনের সভায় বড়ঞা ব্লকের কংগ্রেসের খোরজুনা পঞ্চায়েত প্রধান করবি বাগদি সহ আরও তিনজন কংগ্রেস সদস্য ও একজন সিপিএম সদস্য ইউসুফ পাঠানের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, কারও প্ররোচনায় নয়, নিজেদের ইচ্ছাতেই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। রাজ্যের মা মাটি সরকারের উন্নয়নে শামিল হতেই এই যোগদান। বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোলাম মুর্শিদ বলেন, এই যোগদানের ফলে খোরজুনা পঞ্চায়েতে কংগ্রেস-সিপিএম জোট সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
যদিও বড়ঞা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আজাদ মল্লিক বলেন, ওই পঞ্চায়েত প্রধান সহ যাঁরা এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা অনেকদিন ধরেই দলের থেকে বিচ্ছিন্ন। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে অনেকে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি। আমাদের দল ওঁদের সম্মান দিয়ে টিকিট দিয়েছিল। কিন্তু যোগদানকারীরা ফের স্বমহিমার পরিচয় দিয়ে মানুষের বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। এদিকে এদিন বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর গ্রামে হেঁটে প্রচার করেন। সুন্দরপুর বাসস্টপেজ এলাকা থেকে ওই প্রচার শুরু হয়। পরে গ্রাম ঘুরে এলাকার পেটারি গ্রামে একটি মন্দির পরিদর্শনে যান।