কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
দলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম-১ ও ২পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হয়েছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ১০টির মধ্যে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলে বিজেপির সিঁদ কাটতে সুবিধা হবে বলে নন্দীগ্রামের দলের নেতাদের জানিয়েছেন তমলুক লোকসভা নির্বাচনী কমিটির পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং বিধানসভায় হারের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য লোকসভা ভোটের ময়দানকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো ন’জনের নির্বাচনী কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। শেখ সুপিয়ান এবং শেখ সামসুল ইসলামের মতো পরস্পর বিরোধী শিবিরের দুই নেতাকেই রাখা হয়েছে। এছাড়াও ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, স্বদেশ দাস, আলরাজি এবং সুনীল মাইতির মতো নেতাদের রাখা হয়েছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এই মুহূর্তে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ১২জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাইরে। তালিকায় আবু তাহের খান, শেখ সাহাবুদ্দিন, শেখ হাবিবুল, বাইদুলের মতো ব্লকের প্রথম সারির নেতারা আছেন। ভোটের সময় তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। কিন্তু, এবার লোকসভা ভোটে তাঁদের পাবে না শাসকদল। তাই দলের নেতাদের একসুরে বেঁধে লড়াইয়ে নামার নির্দেশ দিয়েছে দল। সেইমতো ন’জনের কমিটি গড়া হয়েছে। সোমবার হলদিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা লোকসভা এলাকার প্রায় ১৩০জন নেতার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন। সেখানেও নন্দীগ্রাম নিয়ে তাঁর বিশেষ বার্তা ছিল। দ্বন্দ্ব ভুলে জমি আন্দোলনের মাটিতে লড়াই করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মুহূর্তে সোনাচূড়া, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া এবং হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। ওইসব এলাকায় প্রচারে জোর দেওয়া হবে বলে নির্বাচনী কমিটি ঠিক করেছে। কমিটির কনভেনার স্বদেশ দাস বলেন, ন’জনের একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা বিধানসভা ভোটে হারের জ্বালা ভুলতে পারিনি। ওটা একটা ষড়যন্ত্র ছিল। লোকসভায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই করে জয় আনতে আনতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা নন্দীগ্রামে লোকসভা ভোটের কাজ শুরু করেছি। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোকাল টনিকের পর নেতা-কর্মীরা আরও উজ্জীবিত।