কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
কালনা মহকুমা পিএইচই দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কল্লোল বিশ্বাস বলেন, সমস্যাটা আমরা জানি। রাস্তা করতে গিয়ে ওই এলাকায় আমাদের একাধিক পাইপলাইনের ক্ষতি হয়েছে। একাধিক জায়গায় ‘লিক’ ধরা পড়েছে। আমাদের লোকজনদের বলা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
পূর্বস্থলী-২ ব্লকের মাজিদা অঞ্চলের তামাঘাটা গ্রামটি ভাগীরথীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাঁত বুনে সংসার চালান। গ্রামে প্রায় ৮টি বুথ রয়েছে। বাসিন্দারা জানান, গ্রামে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনেও জল মেলে না দীর্ঘদিন ধরে। রাস্তার মোড়ে পিএইচই-এর যে জলের ট্যাপ কল রয়েছে সেখানেও জল মেলে না। বাধ্য হয়েই বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হয়। পিএইচইকে বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি। গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জলকষ্টে ভুগছেন। শুধু তাই নয়, ভাগীরথীর জলে রান্না করতে হচ্ছে তামাঘাটা গ্রামের অনেক মানুষকে।
তামাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা সাধন মণ্ডল, গোপাল সরকার বলেন, বাড়িতে পাইপলাইনের সংযোগ থাকা সত্ত্বেও দু’ বছর ধরে গ্রামের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দারা জল পাই না। বাধ্য হয়ে রাস্তার ট্যাপ কলে জল আনতে হতো। সেখানেও এক মাস ধরে পানীয় জল মিলছে না। এখন আমাদের লক্ষ্মীপুর থেকে জলের গাড়ি আসে। সেখানে ১০ থেকে ২০ টাকা করে কিনে খাই।
পূর্বস্থলী-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য ঝন্টু ঘোষ বলেন, আসলে তামাঘাটা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে গিয়ে পিএইচই-এর মূল পাইপলাইনে ২০টি ‘লিক’ ধরা পড়ে। তাও একমাস হয়ে গেল। দ্রুত ওই ‘লিক’ মেরামত করা হচ্ছে। তাছাড়া গ্রামে পাইপ লাইনের সংযোগ বেড়ে গিয়েছে। তবে পিএইচই খুব চেষ্টা করছে। যাতে সাধারণ মানুষ পানীয় জল পান। রাজ্য সরকারের ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, পাইপলাইন দেওয়া সত্ত্বেও কেন দু’ বছর ধরে পানীয় জল মিলছে না বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি। কার গাফলতিতে এমনটা ঘটছে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। মাত্র, কয়েক কিমি দূরেই কমলনগর জলপ্রকল্প রয়েছে। অথচ গ্রামের পাইপলাইনে কেন জল মিলছে না তা নিয়ে হতাশ বাসিন্দারা।