কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এই ব্লকে ৭০টিরও বেশি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, ১০০-র বেশি প্রাথমিক স্কুল, ৬টি জুনিয়র হাইস্কুল ও ১২টি হাইস্কুল রয়েছে। বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ম্যানেজমেন্ট কলেজ, ল’ কলেজও আছে। কিন্তু ডিগ্রি কলেজ না থাকায় স্কুলের গণ্ডী পেরোনোর পর অনেক পড়ুয়াকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কাঁকসায় ডিগ্রি কলেজ তৈরির দাবিতে বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এই ব্লকের কলেজপড়ুয়া অঞ্জনা লাহা বলেন, স্কুলের পড়া শেষ করার পর বোলপুরে কলেজে ভর্তি হয়েছি। আমাদের এলাকায় কলেজ না থাকায় খুব সমস্যা হয়। যেতে আসতে অনেক টাকা খরচ হয়। দিনের অনেকটা সময় পথে কেটে যাওয়ায় পড়াশোনাতেও প্রভাব পড়ে।কয়েক বছর আগে ব্লক প্রশাসন সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকে। সেখানে ব্লকের কোন স্কুল থেকে প্রতি বছর কতজন করে পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হচ্ছে, সেই তথ্য নথিবদ্ধ করা হয়। কাঁকসা হাইস্কুলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কলেজ তৈরির জন্য তারা ১২ বিঘা জমি দিতে পারেন। ব্লকের দক্ষিণ দিকে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা সিলামপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষও প্রস্তাব দিয়েছিল, ব্লকে কলেজ চালু হলে তারা স্কুলবাড়ি ছেড়ে দেবে। সকালে কলেজ, দুপুরে স্কুল-এই ধরনের কোনও ব্যবস্থা করার প্রস্তাবও উঠেছিল।
পরবর্তীকালে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উপস্থিতিতে ফের একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে বিডিও, সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক, বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান, বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ক্লাবের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, কলেজ তৈরির জন্য ২৫ লক্ষ টাকার একটি স্থায়ী তহবিল তৈরি করা হবে। তখন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়তো ব্লকে কলেজ হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কলেজ গড়ে ওঠেনি।
ওই বৈঠকের আহ্বায়ক নির্মলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ব্লকে জায়গার অভাব নেই। কলেজ তৈরির জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আশাহত হয়েছি। এলাকার বাসিন্দা প্রকাশ দাস বলেন, কলেজ হলে বহু পড়ুয়া উপকৃত হবে। এটা এই এলাকার দীর্ঘদিনের চাহিদা।কাঁকসা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল নন্দী বলেন, স্কুলের তরফে অনেকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেজের জন্য পর্যাপ্ত না হলেও স্কুলের একটি অংশের জায়গা আমরা দিতে চেয়েছিলাম। যদিও সেটি নিয়ে পরবর্তীতে কোনও উদ্যোগ দেখিনি।বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা রমন শর্মার অভিযোগ, শুধু কলেজ নয়, এখানে খেলাধূলার জন্য স্টেডিয়ামও দরকার। সাংসদকে বলা হয়েছিল। উনি রাজিও ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করেনি।কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, ব্লকের কুলডিহাতে কলেজের জন্য জমি নির্দিষ্ট করা আছে। প্রশাসনও আগ্রহী রয়েছে। কলেজ চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।