শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের ১৯টি ব্লকে একটি করে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। সেইসব ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীন আবার বহু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। ব্লক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বর্তমানে যে পরিমাণ চিকিৎসক থাকা প্রয়োজন তার অর্ধেকও নেই বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে মহম্মদবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩০টি বেডের হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে স্বাভাবিক নিয়মে আটজন মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা। কিন্তু, বর্তমানে সেখানে চারজন রয়েছেন। সেখানকার চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে আবার একটিতে কোনও মেডিক্যাল অফিসারই নেই। বাকি তিনটিতে একজন করে রয়েছেন।
১০০শয্যা বিশিষ্ট সাঁইথিয়া হাসপাতালের ক্ষেত্রে ১০জন মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছেন পাঁচজন। ওই ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে একজন করে চিকিৎসক রয়েছেন। দুবরাজপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও একই অবস্থা। ১০জন মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে তিনজন রয়েছেন। এছাড়া বালিজুড়ি, যশপুর প্রভৃতি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে আবার মেডিক্যাল অফিসারই নেই। খয়রাশোল ব্লকের ক্ষেত্রেও নাকরাকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আটজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র দু’জন। ওই ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও প্রয়োজনমতো চিকিৎসক নেই। রাজনগর ব্লকেও আটজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকার থাকলেও রয়েছেন মাত্র দু’জন। সিউড়ি-১, সিউড়ি-২ পৃথক দুই ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও ১৩জনের পরিবর্তে রয়েছেন মাত্র তিনজন। এছাড়া বোলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ১০জনের জায়গায় বর্তমানে রয়েছেন চারজন। লাভপুরে আটজন থাকার কথা থাকলেও সেখানে চিকিৎসকের শূন্যপদ রয়েছে চারটি। ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্ষেত্রেও আটজনের তুলনায় রয়েছেন মাত্র দু’জন। নানুরে আটজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও সেখানে শূন্যপদ রয়েছে পাঁচটি। ব্লক হাসপাতালগুলির পাশাপাশি সিউড়ি সদর হাসপাতাল ও বোলপুর মহকুমা হাসপাতালেও প্রয়োজনের তুলনায় বহু চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ সহ সেখানকার হাসপাতালগুলিতেও প্রায় ৩০-৪০জন চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্লক হাসপাতালগুলির পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেসব চিকিৎসক রয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগ সময়ই ব্লকে তুলে নেওয়া হয়। তার জেরে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত লাটে উঠে যায়।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে চিকিৎসক ঘাটতি থাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়। কিন্তু, দপ্তরের কর্তারা চিকিৎসক ঘাটতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা শীঘ্রই চিকিৎসক নিয়োগের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে দাবি। এমনকী, জেলার বিভিন্ন মহল থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে চুক্তি করে কাজ চালানোর পরামর্শও দিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন।