আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন নতুন কৌশল নিয়েছে চোরেদের দল। প্রথমে এলাকায় লোকজন থাকে না এমন বাড়ির সন্ধান করছে। তারপর সুযোগ বুঝে রাতে সেখানে চুরি করছে। কিন্তু, সেখানেই থেমে থাকছে না চোরেদের দল। পছন্দমতো সামগ্রী, টাকা-পয়সা, সোনাদানা না পাওয়া গেলে বাড়ির আসবাব থেকে বিছানাপত্র আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে তারা। ওইদিন বোলপুর পুরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের স্কুলবাগানের বাসিন্দা সুব্রত বিশ্বাসের ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীরা দেখতে পান, তাঁর বাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বেরচ্ছে। আগুনের শিখাও দেখতে পান অনেকে। বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, বাড়ির ভিতর ঢোকার দরজার দু’টি তালাই ভাঙা। খবর দেওয়া হয় থানায়, দমকল দপ্তরেও জানানো হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কীভাবে বন্ধ ঘরের ভিতরে আগুন লাগল তা নিয়ে ধন্দে পুলিস থেকে এলাকাবাসী সকলেই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ফাঁকা বাড়িতে চুরি করতে এসে পছন্দমতো সামগ্রী না পেয়ে বাড়ির আসবাবে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে চোরের দল।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে বোলপুরের ৩নম্বর ওয়ার্ডে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও দীর্ঘদিন ফাঁকা পড়ে থাকা বাড়িতে চুরি করতে এসে আগুন ধরিয়ে দেয় চোরেরা। সেক্ষেত্রেও বাড়ি থেকে মূল্যবান তেমন কিছু না পাওয়ার ফলে ঘরের বিছানাপত্র ও জামাকাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চোরেদের এই নতুন কৌশল দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বোলপুরবাসী। মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিস। তারা পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতিবেশী সঞ্জীব গুহরায় বলেন, আমরা হঠা লক্ষ্য করি, পাশের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, ভিতরে আগুন জ্বলছে। পরে জানতে পারি, বাড়িটিতে চোর এসেছিল। তালাগুলি ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের কোনও বিপর্যয়, নাকি চোরের দল আগুন লাগিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে জনবহুল এলাকায় এভাবে চুরির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আমরা সকলেই চিন্তায় পড়েছি।
বাড়ির মালিক সুব্রত বিশ্বাসবাবু দীর্ঘদিন দিল্লিতে রয়েছেন। বেশিরভাগ সময় বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে। এই বাড়িটিতে যাতায়াত করতেন তাঁর ভাইঝি প্রিয়া বিশ্বাস। ঘটনার পর তিনি বলেন, বাড়ি থেকে দু’টি টিভি সামান্য কিছু টাকা ও সোনার গয়না খোয়া গিয়েছে। এছাড়াও দু’টি দামি হাতঘড়ি ও বেশকিছু জামা কাপড় চুরি হয়েছে। তবে চোরেরা কেন আগুন ধরিয়ে দিল তা বুঝতে পারছি না।