আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
অন্য একটি ঘটনায় বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর নতুনপাড়ায় এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘরে সিলিং ফ্যানের হুকে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের নাম শুকলাল দাস(৬৮)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। রোগযন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের অনুমান।
অপর একটি ঘটনায় খণ্ডঘোষ থানার বেড়ুগ্রামে বাপেরবাড়িতে গায়ে আগুন লাগিয়ে এক গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম রুনা বেগম(২৭)। বেড়ুগ্রামেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। বছর তিনেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর একটি চারমাসের পুত্রসন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বিকেলে তিনি মারা যান। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।
অন্যদিকে, দেওয়ানদিঘি থানার সিমডালে শ্বশুরবাড়িতে গায়ে আগুন লাগিয়ে এক গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম লতা দাস(২২)। বুদবুদ থানা এলাকায় তাঁর বাপেরবাড়ি। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে তিনি গায়ে আগুন লাগিয়ে নেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বিকেলে তিনি মারা যান। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের অনুমান।
বাইক থেকে পড়ে মৃত্যু: জামালপুর থানার সালিমগ্রামে রেল গেটের কাছে বাইক থেকে পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম আসমা খাতুন কাজি(৬৪)। জামালপুর থানার ভানকরা গ্রামে তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নাতির সঙ্গে বাইকে চেপে সালিমডাঙায় মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন আসমা। জামালপুর-শম্ভুপুর রোড ধরে যাওয়ার সময় রেলগেটের কাছে তিনি আচমকা বাইক থেকে পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন তাঁকে বর্ধমান শহরের একটি নার্সিংহোমে আসেন। রাতে তিনি মারা যান।
অন্য একটি ঘটনায় মেমারি থানার রসুলপুরে পথ দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম বাসুদেব রায় (৪২)। মেমারি থানার নুদিপুরে তাঁর বাড়ি। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে মেমারি থানার রসুলপুরে মুরগি লড়াই খেলায় যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। সাইকেলে চেপে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমানের বামবটতলার অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি মারা যান।