আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
কেয়া চূড়াভাণ্ডার ভেলভেলা হাইস্কুলের ছাত্রী। কলা বিভাগ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছেন। তাঁর মোট নম্বর ৪৩৬। বাংলায় ৮৬, ইংরেজিতে ৯০, ভূগোলে ৯১, এডুকেশনে ৮৫, দর্শনে ৮৪ নম্বর পেয়েছেন। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আগামীতে পড়তে চান। কেয়ার সাফল্যে খুশি প্রতিবেশীরাও।
একসময় আর্থিক কারণে গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা বন্ধ রাখতে হয়েছিল তাঁকে। সেই খবর পেয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ান ময়নাগুড়ি থানার পুলিস কর্মী রামমোহন রায়। কেয়ার সাফল্যে এই পুলিস কর্মী খুশি। তাঁর কথায়, কেয়া ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল করুক। ময়নাগুড়ির নাম উজ্জ্বল করুক। কেয়ার বাবা বাচ্চু রায় চূড়াভাণ্ডার বাজারে সব্জি বিক্রি করেন। কোনওক্রমে তাঁদের দিন চলে। তার বাবার মন্তব্য, কষ্ট সার্থক হয়েছে।
কেয়ার কথায়, আমার পড়াশোনার জন্য পরিবার ও পুলিস কর্মী রামমোহন রায় ভীষণভাবে সহযোগিতা করেছেন। গৃহশিক্ষকরা সেভাবে পারিশ্রমিক নিতেন না। স্কুল শিক্ষকরাও সহযোগিতা করেছেন। আগামীতে নার্স হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। ময়নাগুড়ি কলেজে ইংরেজি বিষয় নিয়ে পড়তে চাই।
এদিকে দরিদ্র পরিবারের মেয়ের এমন ফলাফলে ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ তাঁকে সংবর্ধনা দেন। পড়াশোনার জন্য পড়ুয়ার পাশে থাকবেন বলে জানান তিনি।