আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
এবিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের জেলার কোনও পড়ুয়া মেধা তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি। তবে জেলার এক ছাত্রী উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুল থেকে মেধা তালিকায় এসেছে। তাকে আমরা সংবর্ধনা জানিয়েছি। জেলার মেধা তালিকা এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মহুয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের স্কুলে দু’জন মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় প্রথম দশে এসেছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে কেউ জায়গা পায়নি। আমাদের স্কুলে যারা মাধ্যমিকে প্রথম হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা উচ্চ মাধ্যমিকে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়। তাই ওই স্কুলগুলি থেকে কেন মেধা তালিকায় কেউ এল না খতিয়ে দেখা দরকার।
এবিষয়ে বালুরঘাট হাইস্কুলের শিক্ষক তথা পুরসভার এমসিআইসি বিপুল কান্তি ঘোষের মন্তব্য, মাধ্যমিকে খুব ভালো রেজাল্ট হয়েছিল জেলায়। তবে উচ্চমাধ্যমিকে কেউ স্থান পায়নি। প্রতিবছর যে ভালো ফল হবে, এমনটা নয়। তবে এবার অনেক পড়ুয়া অল্পের জন্য তালিকায় স্থান পেল না।
একই দাবি বালুরঘাট ললিত মোহন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থ প্রতিম দত্তের। তিনি এবিষয়ে বলেন, আমাদের স্কুলেও একইরকমভাবে অল্পের জন্য মেধা তালিকায় কেউ স্থান পেল না। আশা করছি, পরের বার ভালো ফল হবে জেলায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এবছর মাধ্যমিকে প্রথম দশজনের মেধাতালিকায় ৭ জন এসেছিল। একজন তৃতীয়, একজন ষষ্ঠ, তিনজন সপ্তম এবং দু’জন নবম হয়েছেন। গতবছর উচ্চমাধ্যমিকেও চারজন মেধাতালিকায় স্থান দখল করে নিয়েছিলেন। দু’জন তৃতীয়, একজন চতুর্থ এবং আরেকজন অষ্টম স্থান পেয়েছিলেন। এমনকী প্রতিবছরই বরাবর মেধা তালিকায় স্থান করে এই জেলার ছাত্রছাত্রীরা। বিশেষ করে বালুরঘাট হাইস্কুল, বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুল, ললিত মোহন আদর্শ, বংশীহারি হাইস্কুল সহ নানা স্কুলের পড়ুয়ারা মেধা তালিকায় দশের মধ্যে স্থান করে নেয়। কিন্তু এবছর প্রথম দশে এই জেলার কেউ স্থান পাননি।