সংবাদদাতা, পতিরাম: খেলনা বন্দুক নিয়ে এলাকায় দাপাদাপি দুষ্কৃতীদের। জাতীয় সড়কে বাইক আটকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং মারধর। অভিযোগ পেয়েই চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিস। তাদের কাছ থেকে হাঁসুয়া, দা, কাটার সহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। একটি বন্দুকও পুলিস উদ্ধার করেছে। কিন্তু বন্দুকটি দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ পুলিসের। ওই খেলনা বন্দুকের গায়ে লেখা সিক্স এমএম পিস্তল। সেটি দিয়েই ভয় দেখাত তারা। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীরা জাতীয় সড়কের ধারে পথচারীদের আটকে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল। চার জনকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, অভিযোগ পেয়েই চার জনকে অস্ত্রশস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর একজনের খোঁজ চলছে। তবে পূর্বের কোনও বিষয় নিয়ে শত্রুতার জেরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগকারী যুবক দেবকুমার সরকার বলেন, আমি আর ভাই পাগলিগঞ্জ থেকে আসছিলাম। সেসময় আটর মোড়ের কাছে আমাদের গাড়ি আটকে দুষ্কৃতীরা মারধর করে। হাতের সোনার আংটি খুলে নেয়। আমাদের আটকে টাকা দাবি করে। কোনওরকমে পালিয়ে এসেছি।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল পার্থ অধিকারী, শঙ্খদীপ ঘোষ, শিবনাথ সিং ও বিনোদ মালি। তাদের বাড়ি বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকায়। তারা নেশায় আসক্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতেই তারা ছিনতাইয়ের ছক কষেছিল। সোমবার রাতে বালুরঘাটের মিলন সঙ্ঘের যুবক দেবকুমার সরকার বাড়ি ফিরছিল। তাকে মারধরের পরে তারা ফরেস্ট রোডের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পুলিস সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা খেলনা বন্দুক নিয়েই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত। মঙ্গলবার পুলিস ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলে। বিচারক তাদেরকে ৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, সোমবার রাতেই বালুরঘাট শহর লাগোয়া গোবিন্দপুর এলাকায় এক ব্যক্তিকে টাকার জন্য মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।