আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
গতবার একতরফা ভোটে পাহাড় থেকে বিপুল লিড নিয়ে বিজেপির রাজু বিস্তা চার লক্ষেরও বেশি ভোট জিতেছিলেন। এবার যে সেটা হবে না তা গেরুয়া শিবির শুরুতেই বুঝে যায়। কেননা অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থনে তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় পাহাড়ে বিজেপির একচেটিয়া ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা হারিয়ে যায়। পাশাপাশি বিজেপির কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা নির্দল প্রার্থী হয়ে রাজু বিস্তাকে নতুন করে সঙ্কটে ফেলে দেন। অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি কংগ্রেসকে সমর্থন করায় পাহাড়ের ভোট ভাগাভাগি নিশ্চত হয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে সবদলই পাহাড়ে কম ভোট পড়ার কারণ খুঁজছে।
গত জিটিএ ও পঞ্চায়েত নির্বাচনেও গড়ে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। সেখানে এবার লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ে আশ্চর্যজনকভাবে ৭০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। কার্শিয়াংয়ে ৬৭.৬৭ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৬৬.৪৫ ও কালিম্পংয়ে ৬৫.৮৫ শতাংশ শতাংশ ভোট পড়েছে।
অনীত থাপা এবং তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার দাবি, পাহাড়ে কম ভোট পড়ায় তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হয়েছে। কেননা যা ভোট পড়েছে তার সিংহভাগ ভোট ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার। অনীত থাপা বলেন, বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় এবার পাহাড়ের সিংহভাগ মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়নি। একই কারণে বিজেপির অনেক সমর্থক ভোট দিতে যাননি। এবার ভোটের হার কমার এটাও একটা কারণ।
ভোটের হার কম হওয়ায় চিন্তিত বিজেপি শিবির। বিজেপির এক জেলা নেতা বলেন, আমাদের ভোট অনেক কমবে। এবার আমরা পাহাড় থেকে লিড নিতে পারব কি না বুঝতে পারছি না। এত ভোট ভাগাভাগির মধ্যে কম ভোট পড়াটা বিজেপির পক্ষে ভালো ইঙ্গিত নয়।
এবারেও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। তিনি মনে করেন, তৃণমূলের প্রতি ঘৃণা থেকেই অনীত থাপার দলের একটা বড় অংশ এবার ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন। কেননা চাইলেও তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিতে পারতেন না। সেকারণেই পাহাড়ে ভোটের হার কমেছে। পাহাড়ের মানুষ জানে তাদের উন্নয়ন ও দাবি পূরণে জন্য যদি কিছু করতে পারে তাহলে তা করবে বিজেপিই। তাই যে ভোট পড়েছে তার সিংহভাগ ভোটই পেয়েছে বিজেপি।
এদিকে ভোটের হার কম হওয়ায় হতাশ কংগ্রেস প্রার্থী মুণীশ তামাং। তিনি বলেন, কম ভোট পড়ায় পাহাড় থেকে আমার ভালো ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা কমে গিয়েছে। কাজ না পেয়ে পাহাড়ের যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ কর্মসংস্থানের জন্য বাইরে রয়েছে। তাদের একটি বড় অংশ ভিনরাজ্য থেকে কাজ ফেলে ভোট দিতে আসতে পারেননি। সেকারণেই পাহাড়ে ভোটের হার কমেছে। এই ভোটটা কংগ্রেসের ছিল। কাজের প্রয়োজনে ভিনরাজ্যে যাওয়ার যন্ত্রণা থেকে তাঁরা কংগ্রেসকেই ভোট দিতেন।