আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জিতেছিল বিজেপি। দু’বছর পর একুশের বিধানসভা ভোটেও আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল রাজ্যের শাসকদলকে। তবে একুশের বিধানসভা ভোটে হারলেও, নাগরাকাটা, মাদারিহাট, ফালাকাটা ও আলিপুরবদুয়ার এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট বেড়েছিল তৃণমূলের। ভোট বেড়ে যাওয়ায় জোড়াফুল শিবির এবার লোকসভা আসনের এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে লিড পাবে বলে আশা করছে। আর এই চারটি বিধানসভা লিড দিয়েই আলিপুরদুয়ারে জয় দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা লিড পাচ্ছিই। ফলে চারটি বিধানসভায় লিড পেয়েই আমরা জিততে চলেছি। বাকি তিনটি বিধানসভার মধ্যে কালচিনি ও কুমারগ্রামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে আমাদের পিছিয়ে থাকার সম্ভাবনাই রয়েছে। এটা আমরা খোলাখুলিই স্বীকার করছি। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, একুশের বিধানসভা ভোটের পর প্রতিটি চা বাগানে পানীয় জল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্রেশ তৈরি হয়েছে। বাগানের শ্রমিকরা চা সুন্দরী প্রকল্পে যেমন ঘর পেয়েছেন, তেমনই চা সুন্দরী এক্সটেনশন প্রকল্পে শ্রমিকরা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। শ্রমিকরা বাগানে জমির পাট্টা পেয়েছেন। এবার চা বলয়ের বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে মহিলা শ্রমিকরা দলবেঁধে ভোট দিয়েছেন। এর পিছনে তৃণমূল নেতৃত্ব লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রভাব দেখছে। তৃণমূ্ল নেতৃত্বের বক্তব্য, একুশের ভোটে যেমন তাদের ভোট বেড়েছে, তেমনই উন্নয়নের নিরিখেও ভোট আরও অনেকটাই বেড়েছে। ফলে তাদের জয় অবশ্যম্ভাবী। যদিও বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার কটাক্ষ, এবারও তৃণমূলের কোনও অঙ্কই খাটবে না। চা শ্রমিকরা বরাবর আমাদের দলের পাশেই থাকেন। ফলে এবারও আমরাই জিতছি।