আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
একইসঙ্গে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, দলীয়ভাবে যে প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এসেছে, তাতে এখান থেকে অন্তত ১৫ হাজার লিড পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অঞ্চল ভিত্তিক পাওয়া রিপোর্টের সঙ্গে বুথস্তরের রিপোর্ট মিলিয়ে দেখছেন দলের জেলা নেতারা। অন্যদিকে, এখান থেকে সাত হাজারের মতো ভোটে তারা এগিয়ে থাকবে বলে পাল্টা দাবি বিজেপির।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র চার হাজার ভোটের ব্যবধানে আমাদের প্রার্থী হেরে যান। এবারের লোকসভা নির্বাচনে আমরা সেই ব্যবধান টপকে ১৫ হাজারের বেশি লিড পাব। গ্রামীণ এলাকা সহ শহর এলাকাতেও আমাদের পক্ষে ভালো ভোট হয়েছে। অঞ্চল ভিত্তিক যে রিপোর্ট আমরা পেয়েছি, তা বুথ থেকে পাওয়া রিপোর্টর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, সুটকাবাড়ি, মোয়ামারির মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় এবার আমাদের ভোট ভালো হয়েছে। আমরা বিগত বিধানসভা ভোটে গ্রামীণ এলাকায় লিড পাইনি, শহর এলাকার ভোটে জিতেছিলেন আমাদের প্রার্থী। এবার গ্রামীণ এলাকাতেও আমরা লিড পাব। সব মিলিয়ে সাত হাজারের মতো ভোটে এগিয়ে থাকব বলে আশা করছি।
কোচবিহার-১ ব্লকের চান্দামারি, হাঁড়িভাঙা, ফলিমারি, মোয়ামারি, সুটকাবাড়ি, ঘুঘুমারি, পুঁটিমারি-ফুলেশ্বরী এলাকায় গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু গ্রামীণ এলাকা থেকে শহরের দিকে গণনা এগতেই পিছিয়ে পড়তে থাকে তৃণমূল শিবির। কিন্তু এবার তৃণমূল শিবিরের দাবি, শহর এলাকাতেও তাদের ভোট ভালো হয়েছে। শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দিনভর দাপিয়ে ভোট করিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। এছাড়া পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজ ও রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্প সাধারণ ভোটারদের মনজয় করেছে। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য মহিলা ভোটাররা ঢেলে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীকে। দলীয় রিপোর্টে এমনটাই জানতে পেরেছেন নেতারা।
যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসন থেকে মানুষ মুক্তি চাইছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে বিদায় দিয়েছে জেলার মানুষ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে শহর এলাকায় বিশাল লিড তারা যেমন পাবেন, তেমনই গ্রামীণ এলাকায়ও ভালো ভোটে তারা এগিয়ে থাকবেন।