কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ইটাহার ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার ব্লকে ৮৫ বছরের ঊর্ধ্ব এবং বিশেষচাহিদা সম্পন্ন ভোটারের সংখ্যা ৩৮৫। তাঁদের মধ্যে শতায়ু ৯ জন। ইটাহার বিধানসভার সবচেয়ে বয়স্ক ভোটার জয়হাট অঞ্চলের রাজনগরের বাসিন্দা জ্ঞানদা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর স্বামী, সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন জ্ঞানদা। তখন থেকেই ইটাহারের জয়হাট অঞ্চলে তাঁদের বাস। আগে বাড়ির সকলের সঙ্গে পাড়ার বুথে ভোট দিতে যেতেন। বয়সজনিত কারণে এখন আর তা হয়ে ওঠে না। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাড়িতেই ভোট দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতে আবার ছেলে ও বৌমার সঙ্গে টোটোয় চেপে গিয়েছিলেন পাড়ার বুথে।
১০৯ বছর বয়সে আরও একবার লোকসভার ভোট দেবেন বলে কথা। তাই সকাল সকাল স্নান করিয়ে, ট্রাঙ্কে রাখা নতুন সাদা শাড়ি পরিয়ে দেওয়ার জন্য জ্ঞানদা আবদার করেছিলেন ছেলে শ্যামল, বউমা চায়না বিশ্বাস এবং নাতনি দীপার কাছে। জ্ঞানদার ইচ্ছে পূরণ করেছেন তাঁরা।
ভোটকর্মীরা আসার আগে বারান্দায় বসে পুরনো দিনের ভোটের গল্প শোনালেন। জ্ঞানদার কথায়, আগে ভোটের দিন তেমন ঝামেলা হত না। ভোট দিয়ে ফেরার সময় দেওয়া হতো মিষ্টি ও নিমকি। এখন সেসব দিন আর নেই। জ্ঞানদা বদল হতে দেখেছেন দেশের অনেক প্রধানমন্ত্রী। সব মনে না থাকলেও স্মৃতিতে এখনও তাজা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কথা। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৮৭ সালের বন্যায় ইন্দিরা গান্ধী হেলিকপ্টারে থেকে বন্য দুর্গতদের খাবার দিয়েছিলেন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও ভোট নিতে না আসায় মাঝে বিশ্রাম নেন এই বৃদ্ধা। বিকেলে ভোটকর্মী সহ কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িতে পৌঁছতেই সটান নাতনির হাত ধরে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় চলে এলেন।