কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের আগে এই ইস্যু নিয়ে শাসক দল গোটা শহরজুড়ে প্রচার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই শহরে ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০০ বছরের বেশি পুরনো ঐতিহ্যবাহী মন্দির রয়েছে। সেগুলির সঙ্গে স্থানীয়দের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে মহাপ্রভুর ঠাকুরবাড়ি সহ বিভিন্ন মন্দিরের জরাজীর্ণ দশা। পলেস্তারা খসে পড়েছে। তা আটকাতে মন্দিরে ছাদে বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে। মন্দিরের দেওয়াল থেকে পুরনো ইটও উঁকি দিচ্ছে। তবুও বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা তা দেখেননি। ভোটের সময় বিজেপি শুধু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা বক্তব্য, ধর্ম নিয়ে তারা রাজনীতি করে না।
পুরাতন মালদহ শহরের তৃণমূলের সভাপতি তথা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী বলেন, আমাদের পুরাতন মালদহ ঐতিহাসিক শহর। বছরভর পুরনো মন্দিরগুলিতে অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু সেই মন্দিরের অবস্থা ভালো নেই। বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা সেগুলি দেখেন না। তাঁরা শুধু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন। রামমন্দিরের জন্য বিজেপি চাঁদা তোলে। কিন্তু ঘরের পাশে বেহাল মন্দিরের প্রতি নজর নেই। পুরাতন মালদহের বিজেপির নগর মণ্ডল সভাপতি সুজিত দাসের বক্তব্য, আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। আগামী দিনে সব ধর্মস্থানকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেগুলির উন্নয়ন হবে।
তৃণমূল নেতা বৈশিষ্ট্যর সংযোজন, জেলার প্রাচীন মন্দিরগুলিতে রোজ ভোগ, আরতি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। এই মন্দিরগুলি নিয়ে জেলার বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা খোঁজই নেন না।
বিজেপি নেতা সুজিত দাস বলেন, এলাকার মন্দিরগুলি যে বেহাল, তা বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কেউ জানাননি। সম্প্রতি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাধাগোবিন্দ মন্দির এলাকায় কমিউনিটি হল সহ বিভিন্ন কাজ হয়েছে। পুরাতন মালদহের মহাপ্রভুর ঠাকুরবাড়ির বেহাল দশা। - নিজস্ব চিত্র।