কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
স্থানীয় এক শিক্ষক গৌরাঙ্গ হালদার বলেন, বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাটে একটি ডিগ্রি কলেজ, দু’টি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। কিন্তু নেই ভালো সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা। ছোট বড় যেকোনও ধরনের চিকিৎসা পেতে যেতে হয় পাকুয়াহাটের উল্টোপথে ৭ কিমি দূরে মোদিপুকুর হাসপাতালে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ অবিলম্বে এলাকায় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা বিনয়কৃষ্ণ ঘোষ ও সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এখান থেকে ৪৫ কিমি দূরে। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে উল্টো দিকে মোদিপুকুর হাসপাতালে তারপর সেখান থেকে আবার মালদহ যেতে ৫২ কিমি পথ অতিক্রম করতে হয়। ফলে অনেক সময় পথেই রোগীর মৃত্যু হয়। দূরত্বের কারণে সাপে কাটা রোগীদের নিয়ে যেতে গিয়ে পথেই মৃত্যু হয়। অবিলম্বে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
বামনগোলার বিএমওএইচ শুভ্রদীপ মণ্ডল বলেন, স্থানীয়দের কাছে শুনেছি পাকুয়াহাট এলাকাতেই হাসপাতালটি হওয়ার কথা ছিল। জায়গার অভাবে করা যায়নি। এতে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক জয়েল মুর্মু বলেন, রাজ্য সরকার স্থানীয় বিধায়ককে রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এই সরকার কতদূর কী করবে জানা নেই। তবে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
পাল্টা তৃণমূলের মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য অশোক সরকার বলেন, ইতিমধ্যেই পাকুয়াহাটের পাউল ফুটবল মাঠ এলাকায় একটি উন্নত মানের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে সেটিকে বড় হাসপাতালে রূপান্তরের চেষ্টা করা হবে।