কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মালদহের ফতেপুরের গম্ভীরা শিল্পী বাবলু মণ্ডল বলেন, আগামী ৫ মে পর্যন্ত আমাদের বরাত দেওয়া হয়েছে। আমরা দলে ১০ জন রয়েছি। বরাত অনুয়ায়ী বিভিন্ন গানের মাধ্যমে দক্ষিণের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির কাজের প্রশংসা করছি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি তুলে ধরছি। পাশাপাশি মানুষের সামনে বিজেপি প্রার্থীর সুনাম করা হচ্ছে। আমরা নির্দিষ্ট কোনও দলের শিল্পী নই। গম্ভীরা আমাদের ভালবাসা। যে রাজনৈতিক দল ডাকবে, তার ডাকেই গিয়ে প্রচার করব। গত বছর তৃণমূলের ওরফে ডাক
পেয়েছিলাম। তাদের হয়ে কাজ করেছি। কংগ্রেস ডাকলেও যাব। আমরা গান নিয়ে মানুষকে বোঝাব। গানে কাউকে খারাপ কথা বলা হয় না। এর মাধ্যমে
মানুষ সহজভাবে সবকিছু বুঝতে পারে। বিজেপির উত্তর মালদহের সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক স্নেহাংশু ভট্টাচার্য বলেন, গম্ভীরা জেলার ঐতিহ্য। দক্ষিণে আমাদের প্রচার শুরু হয়েছে। উত্তর মালদহে গম্ভীরা শিল্পীদের দিয়ে আমাদের জোর প্রচার হবে। এনিয়ে আমাদের যাবতীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আমাদের দুই কেন্দ্রে ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার চলছে। গম্ভীরা নিয়ে আপাতভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। ছাত্র পরিষদের মালদহ জেলা সভাপতি মান্তু ঘোষ বলেন, আমাদের গম্ভীরা প্রচার নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনে রণকৌশল ঠিক করা হবে।
প্রসঙ্গত, মালদহ জেলার নিজস্ব লোকসঙ্গীত এই গম্ভীরা। এই গান ও মুখোশ নাচের সঙ্গে জেলার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। শিল্পীরা গম্ভীরা গানের মাধ্যমে খুবই সহজ ও সরল ভাবে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে ভালো জনসংযোগ করতে পারেন। সেজন্য নির্বাচনে প্রচারের কাজে রাজনৈতিক দলগুলি গম্ভীরা শিল্পীদের কাজে লাগান। এবারও জেলায় গম্ভীরা শিল্পীরা বরাত পেতে শুরু করেছেন। সেই অনুযায়ী তাঁরা কর্মসূচি করছেন। এনিয়ে তাঁরা বেশ খুশি।