কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
কোচবিহারের সভায় জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন সহ উত্তরবঙ্গে রেলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে উত্তরবঙ্গে রেলের কী কী উন্নয়ন করেছিলেন। হলদিবাড়িতে ল্যান্ড পোর্ট, কোচবিহারকে হেরিটেজ টাউন হিসেবে গড়ে তোলা সহ একাধিক উন্নয়নের প্রসঙ্গেও বলেন তিনি। রাজবংশী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের কথাও তুলে ধরে বলেন, কোনও প্রয়োজন হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মন। রাসমেলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়া মতো। মঞ্চে লোকনৃত্যের সঙ্গে পা মেলান তিনি।
নিশীথকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, আমাদের এখানে যিনি প্রার্থী তিনি বকলমে একজন বড় ‘গুন্ডা’। তিনি আবার শীতলকুচির মতো গুলি চালিয়ে দেবেন। তিনি কিন্তু আবার আপনাদের বিপদে ফেলবেন। বিমানবন্দর প্রসঙ্গে নিশীথকে কটাক্ষ করে মুখমন্ত্রী বলেন, কোচবিহার বিমানবন্দর কে করে দিয়েছে? দিল্লির টাকায় নয়। ওটা আমরা করে দিয়েছি। বলেছিলাম, সিঙ্গল ইঞ্জিন নয়, ডবল ইঞ্জিন করো। তাতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকে। হঠাৎ করে বাবু একদিন বিমানে চড়ে চলে এলেন। করে দিলাম আমরা। জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না। রাজবংশীদের জন্য স্কুল করে দিয়েছি। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দিয়েছি। চিলারায়ের মূর্তি, রাজবংশী ভাষা, কামতাপুরী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছি, বলেন তিনি। কোচবিহার পুরসভার কর বৃদ্ধি হচ্ছে না বলে এদিন ফের একবার বলে যান মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, নিশীথের জনসমর্থন দেখে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই এসব বলছেন। ডিমডিমা চা বাগানের যাত্রা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় নজর কাড়েন বাগানের মহিলারা। বন্ধ ঢেকলাপাড়া, দলমোড়, রামঝোরা ও লঙ্কাপাড়া বাগানের শ্রমিকরা এসেছিলেন। দুপুর ২টোয় মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার জনসভার পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামতেই গর্জে ওঠে উপস্থিত জনপ্লাবন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ চা বাগান হাসছে। ৫৯টি বন্ধ বাগান খুলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বন্ধ বাগান খুলেছেন, প্রশ্নে শ্রমিকরা বলেন ‘না, না।’
মুখ্যমন্ত্রী জনসভায় চা শ্রমিকদের এই বিপুল উপস্থিতি দেখার পর তৃণমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, শ্রমিকরা বুঝতে শিখেছেন বিজেপি তাঁদের জন্য কিছু করবে না। তাঁদের জন্য তৃণমূলই করছে।