কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
আম্বেদকরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন সমিতির নেতারা। তারপর দেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে আম্বেদকরের আদর্শের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা হয়। আম্বেদকরের আদর্শকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ বলে খারওয়ার আদিবাসী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে।
সমিতি জানিয়েছে, দেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যে অন্যতম খারওয়ার সম্প্রদায়। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এই জনজাতির লোকেরা প্রায় ৩০০ বছর ধরে বসবাস করছেন। কিন্তু তাঁরা এখনও শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন। এই জনজাতির সার্বিক উন্নয়নে আম্বেদকরের আদর্শের গুরুত্ব অপরিসীম। সংগঠনের জেলা সম্পাদক চৈতন্য মণ্ডল বলেন, বিআর আম্বেদকর দলিত সমাজের উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করেছেন। খারওয়ার সমাজের উন্নয়নে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন জরুরী। সংগঠনের সভাপতি নিবারণচন্দ্র মণ্ডলের বক্তব্য, নিছক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এই দিনটি পালন করলে হবে না। আমাদের আম্বেদকরের আদর্শকে দেশে বাস্তবে রূপদান করতে হবে।
একই মত দলিত আন্দোলনের নেতা সঞ্জীব কুমার মণ্ডলেরও। বলেছেন, আম্বেদকারের আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর আমরা এই দিনটি পালন করে থাকি।
খারওয়ার জনজাতির লেখক সঞ্জয়কুমার মণ্ডল বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে বাবা সাহেবের আদর্শকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। খারওয়ার জনজাতির মানুষদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, আর্থসামাজিক উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে বাবা সাহেবের আদর্শকে তুলে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খারওয়ার আদিবাসী কল্যাণ সমিতির নেতা সুনীলচন্দ্র মণ্ডল, প্রফুল্ল মণ্ডল, উৎপল মণ্ডল, প্রিয়রঞ্জন মণ্ডল, দীপঙ্কর মণ্ডল, চিরঞ্জিত মণ্ডল, বিবেকচন্দ্র মণ্ডল, শ্রীকান্ত মণ্ডল, সঞ্জয় মণ্ডল, বিশ্বজিৎ মণ্ডল প্রমুখ।
এছাড়াও নববর্ষের দিনটিকে খারওয়ার জনজাতির পক্ষে শিরুয়া উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে তাঁরা গ্রাম দেবতার পুজো করেন। সারাদিন রান্নাবান্না বন্ধ রেখে আগের দিনের খাবার খেয়ে দিনটি পালন করে। নিজস্ব চিত্র।