কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
তাঁর অভিযোগ, বরকত গনি খান চৌধুরীর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এলাকার উন্নয়নে কোনও ভূমিকা পালন করেননি। যার ফলে দক্ষিণ মালদহের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। ভোটে জেতার পর তাঁদের আর এলাকায় দেখা যায় না।
সাবিনার কটাক্ষ, বরকতের পর যাঁদেরকে মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাঁরা এক প্রকারের ‘ভুঁয়ো কাঁঠাল’। যা শুধু গাছেই থাকে। কোনও কাজে লাগে না।
মন্ত্রী সাবিনার কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা। বলেছেন, দক্ষিণ মালদহ আসনটি ফের কংগ্রেস পেতে চলেছে। আর তা বুঝতে পেরেই তৃণমূলের মন্ত্রী ভুলভাল ও অশালীন কথা বলছেন।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবিনাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, বরকত সাহেব মালদহের রূপকার ছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর যাঁরা কংগ্রেসের হাল ধরেছিলেন, তাঁরা কেউই জেলার উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করেননি। সে কারণেই মালদহের উন্নয়ন সেভাবে হয়নি বলে দাবি প্রতিমন্ত্রীর।
তাঁর সংযোজন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে মালদহে লাগাতার উন্নয়ন হয়েছে। মমতা সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্যের মানুষ ব্যাপক উপকৃত হয়েছেন। এদিনের সভায় প্রতিমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা। এই প্রকল্পর উপর ভর করেই মালদহে এবার জোড়াফুল ফুটবে বলে তৃণমূলের দাবি।
সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবিনা বলেন, মালদহের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে মানুষ এবার পরিবর্তন চায়। মমতার জনমুখী প্রকল্প সহ উন্নয়নের ফল এবার ইভিএমে দেখা যাবে।
তৃণমূল নেত্রীর দাবি, ২০২১’এর বিধানসভা ভোটের পর মালদহে কংগ্রেসের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মালদহে বিজেপির কয়েকজন বিধায়ক থাকলেও কংগ্রেসের কিছুই নেই। ২০০৯ থেকে লাগাতার দক্ষিণ মালদহে কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ হয়েছেন ডালুবাবু। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেটাও হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের। যদিও ঈশার দাবি, কংগ্রেসের উন্নয়ন দেখেছেন জেলাবাসী। এবারও দক্ষিণ মালদহে কংগ্রেস জিতবে।
কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা তৃণমূলকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন। বলেছেন, তৃণমূল দলটা পুরোপুরি দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। দলের নেতামন্ত্রীরা দুর্নীতির দায়ে জেলে। বাকিরাও জেলে যাবেন। দক্ষিণ মালদহে তৃণমূল কংগ্রেস খুব একটা ভালো জায়গায় নেই। তৃণমূলের হাইকমান্ড নির্দেশ দিয়েছে, যে করেই হোক দক্ষিণ মালদহ লোকসভা আসনে জিততে হবে। না হলে সাবিনার মন্ত্রিত্ব থাকবে না। এজন্যই ভুলভাল কথা বলে মানুষের সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।