কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
২০১৪ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে হাতিঘিষার জমিদারগুড়ি থেকে জঙ্গলবস্তি গ্রামের মাঝে বামনঝোরা নদীতে সেতু নির্মাণ শুরু হয়। এজন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। সেতু নির্মাণে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনটি পিলার তৈরি করে বেপাত্তা হয়ে যান ঠিকাদার।
জমিদারগুড়ি, হুইচইমল্লিক জোত, জঙ্গলবস্তি, কেটুকাবুর জোত, বীরসিং জোত, বিজয়সিং সহ একাধিক গ্রামের মানুষের যাতায়াত ওই পথে। পাকা রাস্তা হলেও সেতু হয়নি। বর্ষায় পড়ুয়াদের কোলে নিয়ে অভিভাবকরা নদী পারাপার করেন। না হলে ১০ কিমি ঘুরপথে নকশালবাড়ি যাতায়াত করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাপি কর্মকার বলেন, প্রায় এক দশকে একাধিক নির্বাচন পেরিয়ে গিয়েছে। প্রচারে এসে নেতারা শুধুই প্রতিশ্রুতি দেন। তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হল কি না, তা নিয়ে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। তাই আমরা সেতুর আশা ছেড়ে দিয়েছি। আরএক বাসিন্দা নীরজ মল্লিক বলেন, সেতুটি নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া আর কিছু হয়নি। সরকারি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা সিপিএমের হাতিঘিষা এরিয়া কমিটির সম্পাদক মাধব সরকার বলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই সেতুর কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারের সঙ্গে বালি, পাথর স্থানীয়দের ঝগড়া হয়। পরে ঠিকাদার কাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাতে তৃণমূলের কর্মী ও নেতারা যুক্ত ছিল। এনিয়ে একাধিকবার স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ এগয়নি।
এ নিয়ে বিজেপির হাতিঘিষা মণ্ডল সভাপতি কেশব রায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতারা সেতু তৈরির নামে টাকা নয়ছয় করেছেন। প্রচারে আমরা বিষয়টি তুলে ধরব।
নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের হাতিঘিষা অঞ্চল সভাপতি আসরাফ আনসারি বলেন, নকশালবাড়ির অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি, নির্বাচনের পর সেতুর কাজ হবে। নিজস্ব চিত্র