শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এদিকে এক্সিট পোলের রিপোর্টে ফের কেন্দ্রে মোদি সরকার ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে জয়ী দেখানোয় বিজেপির কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে এক্সিট পোল বলেছিল রাজ্যে তৃণমূল অনেক আসন কম পাবে। জোটের সরকার ক্ষমতায় আসছে। অনেক নেতানেত্রী হেরে যাবে বলেও বলা হয়েছিল। সেসব একটিও সত্য না হওয়ায় এক্সিট পোলের উপর কোনও ভরসা করেন না অর্পিতা ঘোষ। তিনি নিজের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বলেই দাবি করেছেন। তাঁর মতোই তৃণমূলের অধিকাংশ নেতা কর্মী এক্সিট পোল রিপোর্টকে উড়িয়ে দিয়ে আগামী ২৩ মের চূড়ান্ত ফলাফলের উপর ভরসা করছেন।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমি এক্সিট পোলের রিপোর্টকে কোনও দিন মান্যতা দিইনি। এক্সিট পোল একেবারে ঠান্ডা ঘরে বসে বানানো হয়। ২০১৬ সালে এক্সিট পোল বলেছিল এক, আর হয়েছিল আরেক। সেই কারণে ২৩ মে ফল ঘোষণার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আমার জয় নিশ্চিত। বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, এক্সিট পোল রিপোর্টে আমাকে জয়ী দেখানো হয়েছে। তবে আমি এক্সিট পোলের রিপোর্ট থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি বুথের কর্মীদের সমীক্ষায়। সেই সমীক্ষাতে এক লক্ষ ভোটে আমি বালুরঘাট লোকসভা থেকে জয়যুক্ত হচ্ছি। একাধিক সংস্থার তৈরি এক্সিট পোলে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার জয়ী দেখানো হয়েছে। এমন রিপোর্ট সামনে আসতেই বিজেপির অন্দরে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। যদিও বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব ভোট কষাকষির অঙ্কেই ব্যস্ত রয়েছেন। কোন বিধানসভা কত ভোটে লিড হতে পারে সেই নিয়ে সোমবার জেলা কার্যালয়ে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা আলোচনা করেন নেতারা। সূত্রের দাবি, ইটাহার বিধানসভা বাদ রেখে বাকি বিধানসভায় দল প্রচুর ভোটে লিড পাবে বলেই বিজেপি নেতারা বলছেন। অন্য দিকে তৃণমূলের অন্দরের খবর, বালুরঘাট বিধানসভায় তাদের হার নিশ্চিত সেই অঙ্ক কষে বাকি বিধানসভায় কতো লিড হতে পারে তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি শুরু করেছে। ইটাহার, হরিরামপুর, কুমারগঞ্জ ব্লকে তারা প্রচুর লিড নেবেন বলেই তৃণমূল নেতাদের দাবি। গঙ্গারামপুর, তপন, হরিরামপুর, কুশমণ্ডিতে কমবেশি ভোট কাটাকাটি হবে।
তবে রাজনৈতিক মহল এবারের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বলেই মনে করছে। এই অবস্থায় এক্সিট পোল ছড়িয়ে পড়ায় সেই চর্চা বাড়তি মাত্রা পেয়েছে বলা বাহুল্য।