ইসলামাবাদ, ৯ নভেম্বর (পিটিআই): অযোধ্যা মামলার রায়দান নিয়ে তীব্র উষ্মাপ্রকাশ করলেন পাকিস্তানের একঝাঁক মন্ত্রী। কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের দিনই এই রায়দান হওয়া নিয়ে অসন্তোষপ্রকাশ করেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। শনিবার তিনি জানান, এমন আনন্দের দিনে ভারতের এই ‘অসংবেদনশীল’ আচরণে ‘অত্যন্ত মর্মাহত’ হয়েছেন তিনি। কুরেশি বলেন, ‘আর কিছু দিন কি অপেক্ষা করা যেত না? অন্যদিকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করে উৎসবে (করিডর উদ্বোধন) আপনারাও শামিল হতে পারতেন। ওই বিতর্ক (অযোধ্যা মামলা) খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এমন আনন্দের দিনে তাকে অংশীদার করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।’ এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের এই রায়ে ভারতে বসবাসকারী মুসলিমরা আরও চাপে পড়বেন।’ অযোধ্যা রায়ের পুরোটা পড়ার পরই ইসলামাবাদ এই ইস্যুতে সরকারি প্রতিক্রিয়া দেবে বলেই জানান পাক বিদেশমন্ত্রী। এর আগে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পরও একইভাবে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। যদিও, নয়াদিল্লি তাতে বিশেষ পাত্তা দেয়নি।
শুধু পাক বিদেশমন্ত্রীই নন, অযোধ্যা ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পাকিস্তানের একঝাঁক নেতা-মন্ত্রী। পাক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন সরাসরি এই রায়কে লজ্জাজনক, অনৈতিক এবং বেআইনি তকমা দেন। তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহযোগী ফিরদৌস আশিক আওয়ান দাবি করেন, অযোধ্যা মামলায় ভারতীয় শীর্ষ আদালতের এই রায় প্রমাণ করেছে যে তারা নিরপেক্ষ নয়। তিনি আরও জানান, একদিকে পাকিস্তানে যেখানে কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন করে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করছে। আর অন্যদিকে ভারত বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে মুসলিমদের নিশানা করছে।