কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ঈদের ঠিক আগে পাক সেনাবাহিনী তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে গোটা দেশবাসীকেই চমকে দিয়েছে। মঙ্গলবার এক ট্যুইটার বার্তায় মেজর জেনারেল আসিফ গোফুর বলেছেন, ‘দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওরকম আপোস না করেই বাজেট বরাদ্দে রাশ টানছে সেনাবাহিনী। অনুন্নত এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তবে বাজেটে কত পরিমাণ অর্থ কাটছাঁট করা হবে, তা ট্যুইটারে স্পষ্ট করেননি গোফুর।
সেনাবাহিনীর এই মিতব্যয়ী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে পাক সরকার। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত। দেশের আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হয়ে উঠবে। উদ্বৃত্ত অর্থ দারিদ্র দূরীকরণে কাজে লাগানো হবে।’ সেক্ষেত্রে ইমরানের সরকার বিশেষভাবে জোর দিতে চলেছে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা ও বালুচিস্তান প্রদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে। ইমরান নিজেও বলেছেন, ‘এবার ফেডারেল বাজেটে বালুচিস্তান সহ দেশের পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নে বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করা হবে।’ পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন,‘দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ব্যয় সঙ্কোচনের পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও সেনার এমন মেলবন্ধনই পারে সঙ্কটের সুনামি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে। এদিকে, দেশের আর্থিক দুর্দশার জন্য ইমরানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। সিন্ধু প্রদেশে দলের এক সমাবেশে জারদারি বলেছেন, ‘ইমরানের নীতি পঙ্গুত্বের কারণে দেশের মানুষ আজ চরম আতান্তরে। এখনই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। তা না হলে দেশ আরও গভীর সঙ্কটে পড়বে।
প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই ব্যয়সঙ্কোচনের রাস্তায় হাঁটেন ইমরান। সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বরাদ্দ কমানো থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের বিলাসিতায় রাশ টানেন তিনি। তার পরও আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি পাকিস্তান। তার অন্যতম কারণ হিসেবে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদন (জিডিপি)-এর একটা বড় অংশ প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করে পাকিস্তান। ২০১৮ সালে জিডিপির ৪ শতাংশই এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল। যা ২০০৪ সালের পর সর্বোচ্চ। আর সেই সূত্রেই বিশ্বের ২০টি ব্যয়বহুল সেনাবাহিনীর তালিকায় ঢুকে পড়ে পাকিস্তান। স্টকহোম ইন্টারন্যাশন্যাল পিস অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর জন্য পাকিস্তানের বাজেট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার। এবার মিতব্যয়ী হওয়ার স্বেচ্ছা ঘোষণার পর বাজেটে পাক সেনাবাহিনী কতটা কাটছাঁট করে, সেটাই দেখার।