বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
তানিয়া জয়াকে নিয়ে অনলাইন ডেইলি মেল লিখেছে, আমেরিকা ডালাসের কাছে প্লানো এলাকায় জন জর্জলাস বাস করত। আইএসের যোদ্ধা তালিকায় ছিল তার নাম। হতে চেয়েছিল পরবর্তী ‘ওসামা বিন লাদেন’। তাকেই বিয়ে করে সিরিয়া চলে যান তানিয়া জয়া। তারপর প্রতিদিন অত্যাচারের শিকার হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালান একদিন। এখন আমেরিকার এক শহরের উপকণ্ঠে নতুন বিয়ে করেছেন। ডেইলি মেল লিখেছে, তানিয়া জয়া এখন চার সন্তানের মা। তিনি বড় হয়েছেন মিডলসেক্সের হ্যারোতে। এখন টেক্সাসের প্লানোতে একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। সেখানেই দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে তার সংসার। তিনি শামিমার কাহিনী পড়েছেন অনলাইনে। বলেছেন, একবার তিনিও শামিমার মতো ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। তিনি বিয়ে করেছিলেন আইএসের সবচেয়ে শীর্ষ কমান্ডারদের অন্যতম জন জর্জলাসকে। এ জন্য তাকে ডাকা হতো ‘দ্য ফার্স্টলেডি অব আইসিস’। তানিয়া জয়া এক সময় আইএসের কট্টরপন্থী ছিলেন। এক সময় তিনি বলতেন, তার যে সন্তান জন্ম নেবে তারা মুজাহিদিনদের জন্য জীবন দেবে। কিন্তু সেই তানিয়া জয়া নাটকীয়ভাবে জীবনকে পাল্টে ফেলেছেন। এখন তিনি সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করেন। ডেইলি মেলে সাক্ষাৎকারে তিনি শামিমা বেগমকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তানিয়া জয়া বলেন, যখন শামিমাকে জেহাদি আদর্শে উজ্জীবিত করা হয়েছে তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। যদি স্বেচ্ছায় তার ভুল স্বীকার করে নেয়, তাহলে তাকে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া উচিত। শামিমা ও তার গর্ভস্থ শিশুকে একটি সুযোগ দিন বেঁচে থাকার জন্য। আমার যেমন ব্রেনওয়াশ করা হয়েছিল, তারও তাই। তাই সে আমার মতো সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। তানিয়া জয়া বলেন, শামিমার জন্য আমার খুব দুঃখ হয়। সে এখনও তরুণী। এতগুলো বছর সে ওই বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে ছিল। সেখানে আইএসের বাইরে তাকে ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে দেওয়া হয়নি। এখন তার বয়স মাত্র ১৯ বছর। আমি তো এই বয়সে সন্ত্রাসবাদে ঝুঁকেছিলাম। যদি আমরা তাকে ও তার সন্তানকে সহায়তা না করি তাহলে তারা মারা যাবে। তবে এখানে স্বীকার করে নিতেই হবে যে, সে যা করেছেন এটা অন্যায়। শতভাগ অন্যায়। তবে মানবিক কারণে আমাদের উচিত তার শিশুটিকে সহায়তা করা। যদি তিনি সহায়তা চান তাহলে তার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। তবে সে নাকি এখনও কোনও অনুশোচনা প্রকাশ করেন না, এটা জেনে আমার কাছে নিজেকে পাগলের মতো মনে হচ্ছে। যদি তার গর্ভস্থ সন্তানটি মারা যায় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে সে নিজেই।
‘দ্য ওয়ে অব স্ট্রেঞ্জারস: এনকাউন্টারস উইথ ইসলামিক স্টেট’ বইয়ের লেখক, আইএস বিশেষজ্ঞ গ্রাহাম উড দাবি করেছেন, তানিয়া জয়া তার স্বামী জন জজলাসের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের দাম্পত্যকে পিছনে ফেলে চলে এসেছেন। সিরিয়ায় ‘জেহাদি কন্যা’ হিসেবে ১৫০ জন মহিলা ও যুবতী গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। তার মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন তানিয়া জয়া। তিনিই নিজে বুঝতে পেরেছেন, কিভাবে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে হবে।