বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
গতকাল ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মহম্মদ। এর পরেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে হোয়াইট হাউস। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট একটি জঙ্গি সংগঠন যেভাবে ভারতে হামলা চালিয়েছে, কড়া ভাষায় তার নিন্দা করে ওয়াশিংটন। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির কাছে ‘সেফ হেভেন’ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানকে তাদের কার্যকলাপের উপর রাশ টানার বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স। শহিদদের প্রতি শোকপ্রকাশ করে ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি। ইসলামাবাদকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও একজোট করবে। যৌথভাবে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করবে দুই দেশ।’ সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র রবার্ট পাল্লাডিনো। তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই জঙ্গিদের মদত ও আশ্রয় দেওয়া রুখতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনতে সব দেশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।’ এর আগে, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে লড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তরও। প্রসঙ্গত, জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়া বন্ধ করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত ইসলামাবাদকে এক ডলারও অর্থসাহায্য করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন নিকি হ্যালি। দেশের মাটিতে চলতে থাকা জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করতে উদ্যোগী না হওয়ায় গত সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য বাবদ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ইসলামাবাদের একাধিক আবেদন সত্ত্বেও সেই সিদ্ধান্ত বদল করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বরং এই ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের পাশে দাঁড়ান রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন চাপের মুখেও পাকিস্তান যে তার অবস্থান বদল করেনি, তাও এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানায় মার্কিন আধিকারিকরা। ভারতে ঘটে যাওয়া হামলার প্রেক্ষিতে ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির উপর রাশ টানতে মার্কিন চাপ যে আরও বাড়ানো হবে বলে বার্তাও দেন তাঁরা।
ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দলীয় বিভেদ ভুলে সরব হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজনীতিবিদ। ৫০ জনেরও বেশি কংগ্রেসম্যান ও সেনেটর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হামলার বিরুদ্ধে সরব হন। পাশাপাশি, অভিযুক্ত জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলেন তাঁরা। ডেমোক্র্যাটিক সেনেটরদের মধ্যে অন্যতম চাক শ্যুমের এক ট্যুইটে লেখেন, ‘কাশ্মীরের এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের পাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’ অপর ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর রবার্ট মেনেন্ডজ বলেন, ‘১৯৮৯ সালের পর কাশ্মীর উপত্যকায় অন্যতম বড় জঙ্গি হামলা ঘটল।’ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন রিপাবলিকান সেনেটর জনি ইসাকসনও। জম্মু ও কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে শহিদ জওয়ানদের পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানান কংগ্রেসওম্যান তথা ডেমোক্র্যাটদের তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তুলসী গাবার্ড। জঙ্গি মোকাবিলায় কঠোরতম পদক্ষেপের বার্তা দেন ইন্দো-আমেরিকান কংগ্রেসওম্যান প্রমীলা জয়পাল। হামলায় অভিযুক্ত জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদকে কোনওরকম ছাড় না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান এলিয়ট অ্যাঞ্জেলও।