শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
নিউ ইয়র্কে আমাজনের সদর দপ্তর স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জনগণের আন্দোলনের কাছে আমাজনের এই পিছু হটায় তাঁরা খুশি হয়েছেন। এই সদর দপ্তর স্থাপনের চুক্তি নিয়ে মূল সমালোচনাটি ছিল আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে। আমাজনের এই সিদ্ধান্ত নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ও মেয়র বিল ডি ব্লাজিওর জন্য বড় আঘাত। নিউ ইয়র্কে আমাজনকে আনার মূল উদ্যোগই ছিল এই দু’জনের। কিন্তু আমাজন নিউ ইয়র্কে এলে বাড়ি ভাড়া ও গণপরিবহণের উপর চাপ পড়বে—এমন দাবি তুলে স্থানীয় আইনপ্রণেতারা এর বিরোধিতা শুরু করেন। মূলত মানবাধিকারকর্মীরাই এই আন্দোলনের সূচনা করেন, যা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। শহরবাসী, বিশেষত লং আইল্যান্ড সিটির আশপাশের এলাকার অধিবাসীরাই এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন। প্রতিবাদের কারণ ছিল, নিউ ইয়র্ক নগরীর বাড়ি ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। বাড়ি ভাড়ার ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতেই মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এই অবস্থায় আমাজনের ২৫ হাজার কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্য মিলে দুই লাখ মানুষ একই সঙ্গে শহরে ঢুকলে সেই ভাড়া বেড়ে যাবে বহু গুণ। বিশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থা আরও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠবে। বাড়বে যানজট। এ ছাড়া অভিবাসীবান্ধব নিউ ইয়র্ক নগরীতে আমাজনের এই প্রবেশ অভিবাসীদের মধ্যে শঙ্কা বাড়িয়ে দেবে। কারণ আমাজনের প্রধান কেন্দ্র যদি হয় খোদ নিউ ইয়র্ক, তাহলে পুলিসের ধরপাকড় আরও বাড়বে। আন্দোলনকারীদের মতে, আমাজনের ৩৬০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে কুইন্স বরোর লং আইল্যান্ড সিটি ও তার আশপাশের এলাকা ও এর অধিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষত অ্যাস্টোরিয়া, সানিসাইড, উডসাইড, জ্যাকসন হাইটস, এলমহার্স্ট এলাকার জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আমাজনের সিলিকন ভ্যালির অভিজ্ঞতাও ভালো হয়নি। ফেসবুক, গুগল ও আমাজনের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করতে চেয়েছিল সান ফ্রান্সিসকোর ওই এলাকায়। তখন স্থানীয়রা ঘর বাড়ির ভাড়া অনেক বেড়ে যাওয়ায় এলাকা ত্যাগ করেন। এমনকি অনেক আমাজন কর্মী বাড়ি ভাড়া করতে না পেরে গাড়িতে রাতে ঘুমান। এমন অভিযোগ তুলে টানা বিক্ষোভের সময় আন্দোলনকারীরা মেয়র ও গভর্নরকে গণশত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এর মধ্যে কয়েকজন কাউন্সিলম্যান দাবি করেন, মেয়র ব্লাজিও তাঁদের স্বাক্ষর স্ক্যান করে আমাজনকে এই শহরে আনার বিল পাস করেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, আমাজনের কারণে যেসব মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে, তাদের দায়িত্ব কে নেবে? একইসঙ্গে অভিবাসীদের সতর্ক করে বলেন, আমাজন প্রযুক্তি বিক্রি করবে অভিবাসন পুলিসদের কাছে। অনেকটা সাইবার ইনফরমার হিসেবে কাজ করবে তারা অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে। যা নিউ ইয়র্ক শহরের ঐতিহ্য নয়। পিটিআই