উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এদিন বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। বেঞ্চ জানায়, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী দিল্লিতে বায়ুদূষণের জন্য গাড়ির ধোঁয়া মাত্র ৩ শতাংশ দায়ী। এর সঙ্গে বিপুল পরিমাণে বর্জ্য জমা করা, নির্মাণসামগ্রীর আবর্জনা এবং রাস্তার ধুলো-বালিও দিল্লির দূষণ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। উত্তরে দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়, এই জোড়-বিজোড় নীতির ফলে রাজধানীর দূষণ কিছুটা অবশ্যই কমেছে। তবে, এই নীতি থেকে দু’চাকার যানগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আদালতকে সরকার বলে, ‘এই নীতি দু’চাকার যানবাহনের উপর চালু করা যাবে না। তাতে শহরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। কারণ, দিল্লির রাস্তায় পর্যাপ্ত সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা নেই।’ এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই জোড়-বিজোড় নীতি দূষণ নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে না। সরকারি পরিবহণ পরিষেবাকে আরও ভালো করতে হবে। কিন্তু সেই বিষয়ে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেই মন্তব্য করেছে আদালত।
পাশাপাশি এদিন আদালত আরও জানায়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের সরকার বায়ুদূষণ কমাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আগামী ২৫ নভেম্বর ওই চার রাজ্যের মুখ্যসচিবদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এদিনই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে প্রকাশিত নয়া পরিসংখ্যানে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের বায়ুদূষণের মাত্রা ‘খুব খারাপ’ থেকে ‘তীব্র’ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবারও দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা ‘তীব্র’ স্তরেই ছিল। এনিয়ে টানা চারদিন ধরে ওই স্তরেই আটকে রয়েছে দিল্লির দূষণের মাত্রা। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ রাজধানীতে বাতাসের গুণমান সূচক ছিল ৪৬৭। গাজিয়াবাদের সেটা ৪৮০-তে পৌঁছে যায়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিসংখ্যান অনুয়াযী, দিল্লির একাধিক জায়গায় এদিন পিএম ২.৫ এবং পিএম ১০-এর মাত্রা ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি ছিল। ঘন ধোঁয়াশায় চারদিক ঢেকে থাকায় এদিনও দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার স্কুলগুলিকে বন্ধ রাখা হয়। বাতাসের গতিবেগ কম থাকার কারণ দূষিত বাতাস অন্যত্র সরে যেতে পারছে না। যার ফলে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।