উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এই বিষয়ে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘পড়ুয়াদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করা যায় না। আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা করছি।’ ছাত্রছাত্রীদের মুখের অন্ন কেড়ে নেওয়ার যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরাও জেএনইউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হতে চলেছেন।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত দুদিন ধরেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। যে বিক্ষোভের জেরে দুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় খোদ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক এবং জেএনইউয়ের উপাচার্যকে। অবস্থা সামাল দিতে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের উপর লাঠি চালানোরও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিনও সকালে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এরপরেই জরুরি ভিত্তিতে এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক বসে। এবং তাতেই বর্ধিত হস্টেল ফি আংশিক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে জেএনইউ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, হস্টেলের এক শয্যাবিশিষ্ট রুমের ভাড়া মাসে ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হবে। এবং দ্বিশয্যাবিশিষ্ট রুমের ভাড়া মাসে ১০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করা হবে। কিন্তু এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, এক শয্যাবিশিষ্ট রুমের ভাড়া ৬০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা করা হচ্ছে। অন্যদিকে দ্বিশয্যাবিশিষ্ট রুমের ভাড়া ৩০০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা করা হচ্ছে। কিন্তু মেসের জন্য কশন ডিপোজিট এবং ইউটিলিটি চার্জের হারে কোনওরকম পরিবর্তন করা হয়নি। যার প্রতিবাদে এখনও বিরোধিতায় শামিল হয়েছেন পড়ুয়ারা।
জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ বলেন, ‘জেএনইউ যতটুকু করেছে, তা আমাদের আন্দোলনের চাপেই করেছে। কিন্তু বর্ধিত ফি সামান্য প্রত্যাহার করে এভাবে আইওয়াশ করা হলে আমরা তা মেনে নেব না। আগে যা ছিল, ফি তাই রাখতে হবে। ইউটিলিটি চার্জ, সার্ভিস চার্জ প্রত্যাহার করা হচ্ছে না কেন? আমাদের আন্দোলন চলবে।’ এর আগে যেখানে জেএনইউয়ে ইউটিলিটি চার্জ দিতেই হত না, নতুন নিয়মে তা করা হয়েছে ১৭০০ টাকা। এর মধ্যেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুতলেজ হস্টেলের খাবার বন্ধের উল্লিখিত নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট হস্টেলের কেয়ারটেকার মনোজ কুমার বলেন, ‘এই হস্টেলে ৩৫০ জন আবাসিক আছেন। অনেকেই আছেন, যাঁরা গত চার-পাঁচ মাস ধরে হস্টেল ফি বকেয়া রেখেছেন। একেকজনের ক্ষেত্রে ১২ হাজার, ১৮ হাজার টাকা মতো বকেয়া রয়েছে। আমরা হস্টেলের কাজকর্ম চালাব কীভাবে? তাই আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আগামীকালের মধ্যে বকেয়া ফি জমা না দিয়ে বাকি রাখা আবাসিক খাবার পাবেন না।’ কিন্তু এভাবে পড়ুয়াদের খাবার বন্ধ করা যায় কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই কেন্দ্রের মোদি সরকার ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়েছে। প্রতিবাদ প্রতিরোধ হলেই তা নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে।’